শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৪ জনের মধ্যে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আড়াই বছরের শিশু জুবায়েরের লাশ ও এর ৩ ঘণ্টা পর ওই শিশুর পিতার লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত নিহত শিশুর পিতা ফজলের লাশও পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বীরেন্দ্রনগর বাগলী গ্রামের মৃত আবদুর রশীদের ছেলে ফজল মিয়া ও তার শিশু সন্তান জুবায়ের আহমদ।
জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে ট্রলার ডুবির তিন দিনের মাথায় বুধবার নিখোঁজ ৪ জনের মধ্যে এ নিয়ে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলার ডুবির তিন দিনের মাথায় দু’জনের লাশ উদ্ধার হলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অপর নিখোঁজ দু’ব্যবসায়ীর হদিস মিলছে না বলেও জানা গেছে।
এদিকে ফজল ও তার শিশুর সন্তানের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর বলেন, তাহিরপুর টাঙ্গুয়ার হাওরে সোমবার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বীরেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত আবদুর রশীদের ছেলে ফজল মিয়া (৪৫) তার আড়াই বছরের শিশু সন্তান জুবায়ের পাশর্^বর্তী রতনপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে হযরত আলী (২৭), লাকমা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে জাকির হোসেনসহ (২৫) ৪ জন নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ ব্যবসায়ীদের পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রামসিংহপুরের শিববাড়িতে ¯œানযাত্রায় মিষ্টির দোকান নিয়ে ট্রলারে করে টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ি দিতে গিয়ে সোমবার রাতে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারে থাকা মাঝি-সুকানীসহ ৮ জন পানিতে ডুবে যান। এ ঘটনায় বিশাল হাওর থেকে ফজলের স্ত্রী আনোয়রা বেগম ও অপর ৩ জন অলৌখিকভাবে সাতড়িয়ে তীরে উঠতে পাারলেও আনোয়ারার স্বামী-সন্তানসহ অপর দু’ব্যবসায়ী পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন।
উদ্ধার হওয়া নিহত ফজল ও তার শিশুর লাশের পাশে থাকা স্বজন উপজেলার বীরেন্দ্রনগর গ্রামের কয়লা আমদানিকারক খালেক মোশারফ, গোলাম মোস্তফা ও লালঘাট গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার জানান, রুপাভুই জলমহাল থেকে প্রথম শিশুর লাশটি উদ্ধার করার পর নান্দিয়ার বিলে কান্দায় এনে রাখা হয়েছে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গুয়ার হাওরের উওর পশ্চিম তীরের মধ্যনগরের রংচী গ্রামের জলমহালের কান্দার ওপর ভেসে থাকা লাশ দেখে স্থানীয় রাখালরা সংবাদ দিলে স্বজনরা গিয়ে ফজলের লাশ শনাক্ত করেন। সেখানে এলাকাবাসী ও নিখোঁজদের স্বজনদের আহাজারীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জেলা প্রশাসক শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম বুধবার গণমাধ্যমে নিহতের প্রতি শোক প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে নিহতদের দাফনে সরকারি অনুদান হিসাবে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেয়া হবে।