বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৬৯ নভেম্বর মাস থেকে টিসিবির পণ্য তালিকায় যোগ হবে পাঁচ পণ্য দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ: আহত অর্ধশত দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন আগামিকাল: প্রতি পদেই লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের: আটক ১ দিরাইয়ে মাওলানা মুশতাক গাজীনগরীর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নিখোঁজের ৩ দিন পর জমিয়ত নেতা মুশতাক গাজিনগরীর লাশ উদ্ধার ইউ.কে জমিয়ত সাউথ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড শাখা গঠিত: অলিউর রহমান সভাপতি, আবদুর রহীম সেক্রেটারি দিরাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার

ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৬৯

amarsurma.com
ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৬৯

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যদিও উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি বিদ্যুৎ-পানি সরবরাহ পুনরায় সচল করতে কাজ শুরু করেছে সরকারি সংস্থাগুলো। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১০টার দিকে সেবু প্রদেশের উপকূলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূকম্পন কেন্দ্রের কাছাকাছি বোগো শহরের হাসপাতাল এখন রোগীতে উপচে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেহান্দ্রো।
সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, নিহতের সংখ্যা প্রাথমিক ভাবে ৬৯ হলেও তা এখনো যাচাই-বাছাই চলছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সরাসরি ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকও জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, ফিলিপাইনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সেবুতে ৩৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সচল রয়েছে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হচ্ছে সান রেমিজিও। এই শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের সহকারী মেয়র আলফি রেইনেস জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে, বিদ্যুৎ নেই, আর পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তীব্র সংকটে পড়েছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে খাদ্য, পানি ও ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে পিলার শহরের বাসিন্দা আর্চেল কোরাজা জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় তার পরিবারের সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড কাঁপুনি শুরু হলে তিনি পরিবারকে নিয়ে দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে যান। ভূমিকম্পের পর তিনি দেখেন, সাগরের পানি তীর থেকে সরে যাচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ ঘর থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে আসছে এবং ভবন ধসে পড়ছে। এমনকি শতবর্ষী একটি গির্জাও ভেঙে পড়েছে।
রেইনেস জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সান রেমিজিওর একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাস্কেটবল খেলছিলেন। ভূমিকম্পে ওই ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো বলছে, সর্বশেষ এই কম্পনের গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। এরপর একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিল ৬। তবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে প্রায়শই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দেশটিতে দুটি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল, যদিও তাতে কেউ নিহত হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com