বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত অর্ধশত আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে টেটাবিদ্ধ ১০ জনকে সিলেটে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহানপুর গ্রামের গোলাপ মিয়া ও ফিরোজ মিয়া পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার, মসজিদের ফান্ড ও গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার থানা-পুলিশ ও গ্রাম্য শালিসে সমাধানের চেষ্টা হলেও মূল দ্বন্দ্ব থেকে যায়। সোমবার সকালে খেয়া নৌকা পারাপারকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত গ্রুপের ফিরোজ মিয়া ও আলী আকবরের সমর্থকদের সঙ্গে গোলাপ মিয়ার লোকজনের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এতে সামিয়া বেগম (২০), হুসনা বেগম (৩৫), কাসেম মিয়া (৩৬), সফিক মিয়া (৩৭), নাজির মিয়া (৩৮), সাবু মিয়া (৪০), নাসির মিয়া (৪১), লাল মিয়া (৫৫), সেন্টু মিয়া (৪৫), কামাল মিয়া (৩৫), রাবিয়া বেগম (৩৫), আজিজুল মিয়া (৩৫), সালাতুল বেগম (২৬), আলী আকবর (৫০), মিজান মিয়া (২৯), করমুস মিয়া (২৯), শাহবাজ (৫৬), এরশাদ (৩৩), সরলা বেগম (৪৫), সাক্কল মিয়া (৪৫), রুজেল মিয়া (১২), আশিক মিয়া (৩২), ইসলাম মিয়া (৩৫), সাগর মিয়া (২২), তাহেরা বেগম (২০), জবনুর মিয়াসহ (২২) উভয়পক্ষের অর্ধশত আহত হন।
এরমধ্যে টেটাবিদ্ধ ১০ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পিন্টু কুমার দাস। বাকিদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র টেটা ও ঢাল উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।