শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ: ভারতীয় এক কিশোরীকে শনিবার রাতে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জর তাহিরপুর থানা পুলিশ। ভারতীয় কিশোরীর নাম শ্রুতি পাল (১৩)। পুলিশের নিকট শ্রুতি নিজেকে ভারতের শিলিগুড়ির গণেশ পাল ও দূর্গা রাণী পাল দম্পতির মেয়ে বলে পরিচয় দিলেও অনেক কিছু জিজ্ঞাসাবাদে এড়িয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশীলা জানায়, উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউকান্দি বাজারে শুক্রবার বিকেলে শ্রুতি আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাফেরা করার সময় হিন্দি ভাষায় কথা বলতে গেলে প্রথমে স্থানীয় লোকজনের নজরে পড়ে। পরে বাজারবাসি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য করবুল নেছার বাড়িতে নিয়ে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা করে দেন।
এদিকে কিশোরী শ্রুতির পরিচয় নিশ্চিত হতে শনিবার দিনভর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবুল হোসেন খাঁনের নিকট নিয়ে গেলে ভাষাগত কারণে শ্রুতি নিজের সঠিক পরিচয় অকেটাই চেপে যায়। খবর পেয়ে এক পর্যায়ে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানা পুলিশ শ্রুতিকে তাদের হেফাজতে নেয়।
অপরদিকে রাতে থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শ্রুতি শুধুমাত্র নিজেকে ভারতের শিলিগুড়ির প্রয়াত গণেশ পাল ও মা প্রয়াত দূর্গা রাণী পাল দম্পতির মেয়ে বলে পরিচয় দিলেও অনেক কিছু জিজ্ঞাসাবাদে কৌশলে বার বার এড়িয়ে যাচ্ছে।
তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আসাদুজ্জামান হাওলাদার রাতে জানান, শ্রুতিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার কোন পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয়ের পরিচয় কিংবা ফোন নাম্বারও দিতে পারছেনা, বলছে তার আর কোন ভাইবোনও নেই। কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রুতি কখনো কাঁটাতারের বেড়ার নীচ দিয়ে আবার কখানো বাসযোগে শিলিগুড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী মেঘালয় পাহাড়ের ওপারের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানালেও একক সময় একেক ধরণের কথাবার্তা বলছে।
ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক রোষানল অথবা কোথাও কিশোরী হিসাবে কাজে থাকায় সেখানে কোন ধরণের অদৃশ্য চাঁপ কিংবা অন্য কোন কারণে ওই কিশোরী ভারতের শিলিগুড়ি থেকে দিন কয়েক পূর্বে মেঘালয় স্টেইটের শিলং হয়ে সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ঘোমাঘাট অথবা বড়ছড়া এসে পৌছার পর সীমান্ত অতিক্রম করে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এ ভারতীয় কিশোরীকে নিয়ে থানা পুলিশ অনেকটা বিপাকে রয়েছে, আপাতত থানায় সাধারন ডায়েরী করে কিশোরীকে পুলিশী নিরাপওা হেফাজতে নেয়া হয়েছে, রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে নিরাপওা হেফাজতে পাঠানো হবে।