সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: চৈত্রের মাঝামাঝিতে কৃষকের ধান অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার কারণে যখন মানুষের ঘরে ঘরে হাহাকার চলছে, ঠিক তখনই সরকারের দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নাম করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নামে স্বজনপ্রীতি, টাকা আত্মসাৎ, চাল চুরিসহ নানা অপকর্মের খবর এখন সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নাম করে সাধারণ ও অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার রাজনাও গ্রামের সাঞ্জুব আলীর ছেলে হেলাল আহমদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই একই গ্রামের মৃত সুকুর মোহাম্মদের ছেলে সিজুল মিয়া বাদি হয়ে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এই অভিযোগটি দায়ের করেন। জানা যায়, রাজনাও গ্রামের মৃত রহমান উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদির, রঞ্জিত দাস, লিটন দাস, জগলু মিয়াসহ আরো অনেকের কাছ থেকে ৫শত, এক হাজার ও দুই হাজার টাকা করে নিয়েছেন সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নাম করে। কিন্তু মেম্বার হেলাল আহমদ টাকা নিয়েও অনেককেই সেই সুবিধা দেননি। শুধু তাই নয়, ভিজিডি কার্ডের ৫শত টাকা ও ৩৮ কেজি চাল অনেককেই দেননি বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মেম্বার হেলাল আহমদকে নারী লোভী, বদমাশ ও টাকা-পয়সা লোভী হিসেবেও উল্লেখ করেন সিজুল মিয়া। তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে জানান, আমার দেয়া অভিযোগ শতভাগ সত্য, ৪নং ওয়ার্ডের সচেতন মহল তার দুর্নীতির বিষয়টি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে কোনো সদুত্তর পাইনি বিধায় আমি সুবিচার পাওয়ার স্বার্থে বাধ্য হয়েই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছি।
জগদল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল আহমদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার একটি মহল অবৈধ সুবিধা নিতে চাচ্ছে। আমি তাদের অনৈতিক আবদার রক্ষা না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে একটি মহলকে উস্কে দিচ্ছে। অভিযোগটি শতভাগ মিথ্যা উল্লেখ করে মেম্বার হেলাল আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, যারা অভিযোগ দায়ের করেছে, তারা যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবো। এর আগেও বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছিল, কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।