মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: ‘হাওর রক্ষা সবাই মিলে সজাগ দৃষ্টি রাখি কেউ যেন কাজে না দেয় ফাঁকি, হাওরের বাঁধ হবে ডালু গোড়ায় যত ফুট প্রশস্ত চুড়ায় তার অর্ধেক তবেই হবে চালু’ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষার বাঁধ পরিদর্শন করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শন কালে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলায় ১শতটি পিআইসি রয়েছে, এরমধ্যে বেহেলী ইউনিয়নে ৫২টি, ফেনারবাক ইউনিয়নে ৩৫টি, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে ৫টি, সদর ইউনিয়নে ১টি, ভীমখালী ইউনিয়নে ৪টি, সাচনা বাজার ইউনিয়নে ৩টি। একশত পিআইসিতে চুড়ান্ত প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৭ কোটি টাকার উপর। এ সকল কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ড্রাম ট্রাক ও এক্রোাভেটরসহ অর্ধশত। এ সকল বাঁধের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবেনা। কাজের ধীরগতি ছাড়াও অনেক পিআইসিতে সবে মাত্র কাজ শুরু করা হয়েছে। বেহেলী ইউনিয়নের মোট কাজের মধ্যে ৮০% কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বেহেলী ইউনিয়নের ৮৩নং পিআইসি হালির হাওরে উপ-প্রকল্প ৫৫০ মিটার, প্রকল্প ব্যয় ২০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৪২ টাকা। বিধি মোতাবেক কাজ শুরু হওয়ার তারিখ ২৪ জানুয়ারী কিন্তু পিআইসি মো. জামাল হোসেন ২৪ ফেব্রুয়ারী কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া ৫নং, ৯নং, ৯১নং পিআইসি কাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। ৮২নং পিআইসি তোফায়েল আহম্মদ মাসুম বলেন, ২৫ জানুয়ারীতে কাজ পাই বিধি মোতাবেক কাজ করে আসছি। ৫শত ফুট দুরত্ব থেকে মাটি নিয়েন বাঁধ নির্মাণ করছি ২৯শত ফুট, এরমধ্যে ২শত ফুট বাকি রয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারী আমার কাজ সমাপ্ত হবে এতে প্রকল্পের বরাদ্দ ২৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
বেহেলী ইউনিয়নের পিআইসিদের বিভিন্ন হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও জামালগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও জামালগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, পাউবো শাখা কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাস, জামালগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, বেহেলী ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মো. তোফায়েল আহম্মদ মাসুম প্রমূখ।