শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: ঢাকাস্থ জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড়কাটারা মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন শনিবার রাত নয়টায় মাদরাসার মসজিদে ঈশার নামায চলাকালীন ওয়াক্ফ এস্টেট কর্তৃক বরখাস্তকৃত মাদরাসার সাবেক মুতাওয়াল্লী মৌলবী রশিদ আহমদ ও তার ছেলে শরীফের নেতৃত্বে একটি পেশাদার সন্ত্রাসী গ্রুপ এই হামলা চালায়।
মসজিদে নামাযরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন বড়কাটারা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী সাইফুল ইসলাম। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আযহারুল ইসলাম, মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ, ছাত্র ইমরান, কাউসার, আনাছ আহমদ, তানজীমসহ ৮/১০ ছাত্র, প্রহরী আব্দল মান্নান ও কয়েকজন মহল্লাবাসী আহত হন।
হামলায় আহত মাদরাসার হেদায়েতুন্নাহু জামাতের ছাত্র কাউসার জানান, রাত নয়টায় প্রায় ৪০/৪৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল মাদরাসায় অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে প্রথমেই দায়িত্বরত দারোয়ান আব্দুল মান্নানকে মারধর করে বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরে গেটে লাগিয়ে মাদরাসার দখল করে নেয়। পরে আমাকেসহ মাদরাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা কয়েকটি উপ-দলে ভাগ হয়ে একটি দল মসজিদে আর বাকীরা রুমে রুমে গিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের খুঁজতে থাকে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ খবর মহল্লায় ছড়িয়ে পড়লে মহল্লাবাসী ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসীদের রুখে দাঁড়ায়। জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয় হামলার মূল হোতা রশিদ ও তার ছেলে শরীফসহ বেশ কয়েকজন হামলাকারী। ধৃতদের মারধর শেষে জনতা চকবাজার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ সময় মহল্লাবাসী চকবাজার থানা ঘেরাও করে হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
ঈদের মৌসুমে এই ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদরাসার মুতাওয়াল্লী মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। তিনি বলেন, হামলাকারীরা মাদরাসা অফিসে প্রবেশ করে ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে যাকাত ফাণ্ডের ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়াও ছাত্র-শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ও জরুরী কাগজপত্রও নিছিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা ক্ষুদ্ধ, শঙ্কিত। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। মাদরাসার পক্ষ থেকে চকবাজার থানায় মৌলবী রশিদকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।