সোমবার, ০৭ Jul ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: ইউকে জমিয়ত সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর লন্ডন মহানগর জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
জুনে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে দৈত্যাকার গ্রহাণু

জুনে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে দৈত্যাকার গ্রহাণু

amarsurma.com

আমার সুরমা ডটক ডেক্স:

১১০ বছর আগে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার মতো আরও একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে আগামী বছরের জুনে। আবার কি পৃথিবীর আকাশে হতে যাচ্ছে বিশাল একটি মহাজাগতিক বস্তুর বিস্ফোরণ। যার ঝলকানিতে ভরে যাবে ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার আকাশ।
এমন সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো বলে জানিয়েছেন আমেরিকার লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলাফ ও অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার ব্রাউন। জটিল অঙ্ক কষে তারা জানিয়েছেন, আগামী জুনে একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। তার পর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা ফাটবে ভয়ঙ্কর শব্দে। গবেষণাপত্রটি এই মাসে ওয়াশিংটনে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনে যে উল্কাবৃষ্টি হবে, তাতে তুঙ্গুস্কার ঘটনার মতোই কোনও দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু থাকবে নাকি তার আকার হবে তার চেয়েও বেশি, তা নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও হিসাবনিকাশ এখনও চলছে।
আজ থেকে ১১০ বছর আগে ১৯০৮-এর ৩০ জুনে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার আকাশে আচমকাই একটি দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু ফেটেছিল ভয়ঙ্কর শব্দে। যার ঝলকানিতে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তুঙ্গুস্কা (নদীর নামে এলাকার নাম) আর তার আশপাশের ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার সব গাছপালা। থরথর করে কেঁপে উঠেছিল একটি বিশাল এলাকা। জনবসতিহীন এলাকায় ওই ঘটনায় অবশ্য কোনও প্রাণহানি হয়নি। জখমও হননি কেউ। তবে ওই বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি, কোনও ধূমকেতু নাকি কোনও গ্রহাণু এসে ঢুকে পড়েছিল সে দিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে, যার ফলে ঘটেছিল ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।
কেউ কেউ বলেছিলেন, সেটা আদতে ছিল খুব বড় ধরনের উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যার নাম ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বছরে দু’বার হয়। জুনের শেষে আর অক্টোবরের শেষাশেষি বা নভেম্বরের গোড়ার দিকে। এদের মধ্যে যে উল্কাবৃষ্টি হয় জুনের শেষে, তাকে বলা হয় ‘বিটা টরিড’ উল্কাবৃষ্টি। এগুলি রাতে হয় না। হয় দিনের আলোয়। যখন সূর্যের আলোয় অন্য নক্ষত্রদের আলো ঢাকা পড়ে যায়।
গবেষকদের ধারণা, আগামী জুনের উল্কাবৃষ্টির মধ্যে যতটা বড় চেহারার মহাজাগতিক বস্তু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর তত বড় চেহারার কোনও মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েনি। ’৭৫-এর সেই ঘটনার ফলে ভূকম্পন হয়েছিল, তা চাঁদে বসানো সাইসমোমিটারে ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ‘অ্যাপোলো’ মহাকাশযানের অভিযাত্রীরা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com