মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর আবাসিক এলাকায় আইনী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মরহুম আলহাজ¦ সৈয়দ মোশাহিদ আলীর রের্কডীয় বসত বাড়ির ভূমিতে জোর পূর্বক ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করছেন পাশর্^বতী ঘরের বাসিন্দা মৃত আব্দুস ছোবান পীরের ছেলে ভূমি খেকো সিন্ডিকেট চক্রের মূল হোতা বিশিষ্ট সুদখোর মখলিছুর রহমান পীর। এ ব্যাপারে মোশাহিদ আলীর ছেলে সৈয়দ খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মখলিছুর রহমান পীরের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত বুধবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুহেল রানা একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ভূমি খেকো মখলিছুর রহমান পীর আইনের নির্দেশ অমান্য করে লাটিয়াল ঠিকাদার খলিলুর রহমান ও মাদকসেবী লেবার জাকারিয়া দ্বারা রাস্তা নির্মাণ কাজ সমপন্ন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নিজগাঁও মৌজার ১০৯নং-জেএলস্থিত ৭নং-খতিয়ানের ১৩৩নং-দাগের মোট ৪০ শতাংশ ভূমির মধ্যে ২.৮৪ পয়েন্ট ভূমির উপর অন্যায়ভাবে উত্তরে-দক্ষিণে প্রায় ১শত ফুট ভূমি জবর দখল করে একক রাস্তা নির্মাণ করেছেন ছেলে জিয়াউর রহমান পীরকে বিবাহ করানোর জন্য। ঐ ভূমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সত্ব মামলা রয়েছে। মামলা চলাকালীন অবস্থায় রের্কডীয় ভূমিতে পৌরসভা কিভাবে রাস্তার জন্য কোর্টেশন কাজের বরাদ্দ দেয়। কাজ বন্ধ করার জন্য মেয়রের কাছে বার বার লিখিত অভিযোগ করার পরেও তিনি কোন ধরনের ভূমিকা নেন নি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হুসেন আহমদ রাসেল বলেন, ১৩৩নং-দাগের ভূমির মালিক সৈয়দ খোরশেদ আলম গত ০১/০৪/২০১৯ ইং তারিখে রাস্তা বন্ধের জন্য মেয়র বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে নির্মাণ শাখার পরিদর্শক আজমান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মেয়র মহোদয় ঢাকা অবস্থান করার কারণে তদন্ত রির্পোট সম্ভবত আগামী রবিবার প্রদান করা হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আমি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মিটিংয়ে ছিলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী খোরশেদ আলম জানান, আমার বাবা ও চাচার রের্কডীয় ভূমির উপর দিয়ে জোর পূর্বক ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ কাজ করা অবস্থায় আমি মেয়র মহোদয়ের নিকট রাস্তা বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থাই নেননি। নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করি। পরে সদর থানা পুলিশ ঘঁটনাস্থলে গিয়ে মখলিছুর রহমান পীরকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি আইন অমান্য করে রাস্তার কাজ সমপন্ন করেছেন। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে মখলিছুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করলে কোন উত্তর পাওয়া যায় নি।