সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২৮-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৭৩ জন। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২ হাজার ২৬৮ জনে।
আজ রোববার (১৭ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ৮ হাজার ৫৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় সর্বোচ্চ ৮হাজার ১১৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১২৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ২৬৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। মৃত ১৪ জনের ১৩ জন পুরুষ ও এক জন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২৮-এ। মৃতদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সের উপরে একজন, ৭০ বছর বয়সের উপরে ৩ জন, ৬০ এর ঊর্ধ্বে ৩ জন, ৫০ ঊর্ধ্ব ৩ জন, ৪০ ঊর্ধ্ব ২ জন, ৩০ ঊর্ধ্ব ১ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫৬ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৩৭৩ জন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৪ জনকে। এই সময়ে ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৩৫৮ জন। বর্তমানে কোয়ারান্টিনে আছেন ৪৯ হাজার ৪১৭ জন
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ১৯ জনের। সেটা ১৩ মে´র বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল এক হাজার ২০২ জনের। ওই তথ্য জানানো হয় গত ১৫ মে´র বুলেটিনে।
বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।