সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
ডুবছে হাওর, কাঁদছে কৃষক, সুনামগঞ্জের হাওর ডুবি দায় কার এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় বাধ নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতী, অনিয়মের প্রতিবাদ, কৃষকদের ফসলের নিশ্চিয়তা প্রদানের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার সকালে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির উদ্যোগে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নজরখালি বাঁধভেঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওর, ধর্মপাশা চন্দ্রসোনার তাল, দিরাই সহ বিভিন্ন হাওর তলিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশে হাওর বাচাও আন্দোলনের উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহানা আল আজাদ এর সভাপতিত্বে, সম্মানিত সদস্য বাদল কৃষ্ণ দাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম কলন্দর, বিশেষ অতিথি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সুজন এর সদস্য মারজানা ইসলাম শিবনা। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য হাফসা বেগম, ইউপি সদস্যা রাবেয়া, হাওর বাচাও আন্দোলনের নেতা আব্দুল আল মামুন, কৃষক জমির উদ্দিন, কায়েশ, কৃষাণী সাহিদা আক্তার, লতিফা, রেখা রানী, প্রমিলা রানী, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফ উল্লাহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৮ মার্চ নজরখালী বাঁধে ফাটল দেখা দেয় বিষয়টি আমরা সাথে সাথে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহীত করেছে। কিন্তু এর পাঁচদিন পর বাঁধ ভেঙ্গে হাওর তলিয়ে গেল প্রশাসন কি ভূমিকা নিয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। হাওর ডুবির পর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর আচরণ ছিল সন্দেজনক। তারা অস্বীকার করছেন এ বাঁধ তাদের না। মানববন্ধনে প্রশ্ন রাখা হয় তাহলে এবাঁধে যে ৯ লক্ষ টাকা দেওয়া হলো এটা কি সরকারের না পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর ব্যক্তিগত। টাঙ্গুয়ার হাওর ডুবির দায় কাবিটা স্কিম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির। যাদের স্বাক্ষরে পিআইসিকে টাকা প্রদান করা হয়েছে এবং যে পিআইসি এ বাঁধের কাজ করেছে তাদের সবাইকে আসামী করে মামলা দায়েরের হুমকি দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে।
তারা আশংঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সুনামগঞ্জে পাউবোর জন্য সরকারী, বেসরকারী গোয়েন্দা সংস্থা সমুহ জরিপ করে সকলকে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদান করা হোক। পাউবো ও স্থানীয় দালাল চক্র অবৈধ ভাবে বাঁধের টাকা আত্নসাৎ করে, বাঁধ দুর্বল করেছে, তাই বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। হাওর ডুবি কৃষকের দায় নিবে কে। এর জন্য দায়ী কারা, কেন এত দুনীতি, এসব এখন খোঁজে বের করতে হবে। আর যদি একটি বাঁধভেঙ্গে আর হাওর ডুবি হলে সুনামগঞ্জ পাউবো ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। হাওর ডুবির সকল দায় তাদের নিতে হবে।