শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
ছাত্রলীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ না পেয়ে বের হয়ে যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক
আমার সুরমা ডটকম:
সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে, আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষকতা করা। সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। কয়েকদিন আগে কাঁচপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ঢাকা সিলেট সড়কের ভিত্তি প্রস্তর রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দিয়েছে। মতিঝিলে বিআরটিসির দোতলা বাস পুড়িয়ে দিয়েছিলো। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানান দিচ্ছে আন্দোলনে তারা সহিংসতা যুক্ত করবে। আমরা ক্ষমতায় আছি, অশান্তি চাই না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখে। বিএনপির ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের কারণে তা পিছিয়ে ৬ ডিসেম্বর এনেছে। বাস মালিকদের অনুরোধ করেছি তারা যেন বিএনপির সমাবেশের সময় ধর্মঘট না করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছে। আর তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হাওয়া ভবনে বসে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। তারেক রহমান বলেন আমরা নাকি সবাই দেশ ছেড়ে পালাবো। পালিয়ে গেছেতো তারেক, ২০০৮ সালে রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ২ বছর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলাউদ্দিন নিহত হয়েছে। আমি তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ যে সীমাহীন কষ্ট, আতঙ্ক ও যন্ত্রণা সহ্য করেছে তার জন্য আমি কোম্পানীগঞ্জ বাসীর কাছে ক্ষমা চাই। আমি আমার ভাই কাদের মির্জা ও নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উচিত হবে কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ী ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, কৃষি ও সমবায়ক বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী।
সম্মেলন শেষে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।