শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
ধর্ষণ মামলায় ১৪ দফায় শেষ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় তাকে। এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় জেরা করেন। আগামী ২৩ এপ্রিল এ মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। এর আগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। সেদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছপ্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এমন দাবীর স্বপক্ষে মামুনুল হক এখনো পর্যন্ত কোন দালিলিক প্রমান আদালতে উপস্থাপন করতে পারেন নাই।