মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
এবারের পবিত্র ঈদুল আযহায় কুরবানী করার জন্য সুনামগঞ্জে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে। এসব পশু দেশীয় জাত ও খামারে উৎপাদন, লালন-পালন করা হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট অফিস জানায়।
জানা যায়, কুরবাণীর জন্য ষাঁড়, বলদ, গাভী, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫২ হাজার ৪৯১টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে ষাঁড় ২৪ হাজার ১৫১টি, বলদ ৪ হাজার ৫৭৮টি, গাভী ৭ হাজার ৭৮০টি, মহিষ ১ হাজার ৯৩৭টি, ছাগল ৭ হাজার ৯৬৪টি, ভেড়া ৬ হাজার ৬৭টি, অন্যান্য ১৪টি।
সূত্র মতে, জেলার সদর উপজেলায় কুরবাণীর জন্য প্রস্তুত পশুর সংখ্যা ৫ হাজার ৯১৪টি, এরমধ্যে ষাঁড় ৩ হাজার ৮১টি, বলদ ২৮৪টি, গাভী ৮৬১টি, মহিষ ৫২টি, ছাগল ১ হাজার ৫১টি, ভেড়া ৫৮২টি ও অন্যান্য ৩টি। এছাড়া ছাতকে ৬ হাজার ৮৭১টি, এরমধ্যে ষাঁড় ৪ হাজার ১৩৫টি, বলদ ১ হাজার ১৬টি, গাভী ৮৯৪টি, মহিষ ৯১টি, ছাগল ৪৫১টি, ভেড়া ২৭৯টি ও অন্যান্য ৫টি। জগন্নাথপুরে ৫ হাজার ৬৫১টি, এরমধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ৯৭৫টি, বলদ ২৭৫টি, গাভী ১ হাজার ২৪৫টি, মহিষ ৭১টি, ছাগল ৭১টি, ভেড়া ১ হাজার ১০টি ও অন্যান্য ৪টি। দিরাইয়ে ৫ হাজার ২৭১টি, এরমধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ৩৪২টি, বলদ ৭৬০টি, গাভী ১ হাজার ১৯৮টি, মহিষ ১৬টি, ছাগল ৫৮৫টি, ভেড়া ৩৭০টি। দোয়ারা বাজারে ৪ হাজার ৩৮০টি, এরমধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ১০৮টি, বলদ ৫৪৫টি, গাভী ৮৬৪টি, মহিষ ২৪টি, ছাগল ৪৯০টি, ভেড়া ৩৪৯টি। জামালগঞ্জে ২ হাজার ৮৩৭টি, এরমধ্যে ষাঁড় ১ হাজার ২৬৭টি, বলদ ৩৩২টি, গাভী ২৫০টি, মহিষ ১৮টি, ছাগল ২৪৮টি, ভেড়া ৭২২টি। তাহিরপুরে ৩ হাজার ৮২৩টি, এরমধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ২৮৭টি, বলদ ৩৭০টি, গাভী ৩৫১টি, ছাগল ৫৪৯টি, ভেড়া ২৬৬টি। বিশ্বম্ভরপুরে ২ হাজার ৩৬১টি, এরমধ্যে ষাঁড় ৭১৪টি, বলদ ১২২টি, গাভী ২০০টি, ছাগল ৭৯১টি, ভেড়া ৫৩৪টি। ধর্মপাশায় ৬ হাজার ২৭৫টি, এরমধ্যে ষাঁড় ২ হাজার ৭২৪টি, বলদ ৩২৫টি, গাভী ১ হাজার ৮৪টি, মহিষ ৫৫টি, ছাগল ৮৭২টি, ভেড়া ১ হাজার ২১৫টি। শাল্লায় ৩ হাজার ৬৬৭টি, এরমধ্যে ষাঁড় ৭৪৩টি, বলদ ৩২৫টি, গাভী ৪৫৭টি, মহিষ ১ হাজার ৬১০টি, ছাগল ২৯৬টি, ভেড়া ২৩৪টি ও অন্যান্য ২টি। শান্তিগঞ্জে ৫ হাজার ৪৪১টি, এরমধ্যে ষাঁড় ১ হাজার ৭৭৫টি, বলদ ২২৪টি, গাভী ৩৭৬টি, ছাগল ২ হাজার ৫৬০টি, ভেড়া ৫০৬টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আমিসহ আমাদের লোকজন নিয়মিত পশুর হাট পরিদর্শন করছি। কোন হাটেই এ বছর ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে না বলেও তিনি জানান। এ বছর সুনামগঞ্জে ৫২ হাজার ৪৯১টি পশু কুরবাণীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু দেশীয় জাত ও খামারে উৎপাদন, লালন-পালন করা হয়েছে।