সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : রাতটা হয়ত বার্নি স্যান্ডার্স আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের হতে পারে, কিন্তু ডয়চে ভেলের এক সাংবাদিক মনে করেন, নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারি থেকে অচেনা একজন আলোচনায় উঠে এসেছেন৷ জন কেসিক-এর উত্থান রিপাবলিকানদের জন্য শুভ লক্ষণ৷ নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারি অনেক প্রত্যাশা পূরণ করেছে৷ বার্নি স্যান্ডার্স আর ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’জনেই সেখানে জিতেছেন৷ তবে রিপাবলিকান মার্কো রুবিও সবশেষ টিভি বিতর্কের খারাপ ‘পারফরম্যান্স’ থেকে উঠে আসতে পারেননি৷ জরিপে এ সব বিষয় আগেই ধারণা করা হয়েছিল৷ জেব বুশের মিলিয়ন ডলার ব্যয় কিছুটা কাজে দিয়েছে৷ নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যটি ছোট হলেও কৌশলগত কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ বুশ সেখানে ১১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন৷ এর ফলে তিনি ভবিষ্যতে আরও অর্থ জোগাড় করতে পারবেন, যেটা তাঁকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহায়তা করবে৷
হিলারি ক্লিনটন হেরে গেছেন৷ কিন্তু হারের পর দেয়া দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি এই হার শিকার করতে অস্বীকার করেছেন৷ হিলারি একজন যোদ্ধা৷ ইতিহাস বলছে, আগামীতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিভিন্ন রাজ্যের প্রাইমারিতে তিনি আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ও ল্যাটিনো ভোটারদের জোরালো সমর্থন পাবেন৷ হিলারি তাঁর বক্তব্যে এই আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন যে, নিউ হ্যাম্পশায়ারই স্যান্ডার্সের শেষ সফলতা হয়ে থাকবে৷
নিউ হ্যাম্পশায়ার ও তার আগে আইওয়ার ফলাফল কি এটাই প্রমাণ করে যে, প্রচারণার এই প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁরাই জেতে যাঁদের আসলে দলগুলো ততটা চায় না? তাঁরাই জেতে যাঁরা এমন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা আর অঙ্গীকার করেন যা আসলে বাস্তবায়নযোগ্য নয়? হয়ত এটাই সত্যি৷ তবে এটি জন কেসিক-এর ক্ষেত্রে সত্যি নয়৷ ওহাইও-র এই গভর্নর গতরাতের নীরব বিজয়ী৷ অনেকে তাঁর প্রতি আস্থা রাখলেও, অন্যদের ভিড়ে তিনি আলোচনায় আসেননি৷ তবে নিউ হ্যাম্পশায়ারে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হওয়ায় এখন থেকে তিনি ‘স্পটলাইটে’ থাকবেন৷
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রিপাবলিকান শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পছন্দের প্রার্থী মার্কো রুবিও কি আবারো প্রতিযোগিতায় সামনে আসতে পারবেন, নাকি উপায় না পেয়ে, ট্রাম্পকে থামাতে, রিপাবলিকানদের কেসিক-এর দিকেই ঝুঁকতে হবে? কেসিক যদিও অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে উদারপন্থা অবলম্বনের পক্ষে৷ সূত্র: ডয়েচ ভেলে