রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে পুলিশ। দেশব্যাপী এ অভিযান আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে। চলবে ৭ দিন। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক এর সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যা ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ওপর করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবুল কাশেম, ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, সকল কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং ঢাকা, টাংগাইল, গাজীপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, বগুড়া, ঝিনাইদহ ও নাটোর জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী প্রচারণা জোরদার করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিউনিটি পুলিশিংকে কাজে লাগাতে হবে। আইজিপি এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী খুনের ঘটনাকে অত্যন্ত নির্মম বর্বরোচিত ও দুঃখজনক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।
আইজিপি দৃঢ় মনোবল নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, টিম স্পিরিট নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সভায় দেশব্যাপী জঙ্গিদের তালিকা হালনাগাদ করা, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারী বাড়ানো, ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিংকে কার্যকর করা, আগন্তক ও ভাড়াটিয়াদের ওপর নজরদারী বাড়ানো, বিদেশীদের নিরাপত্তা দেয়া ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত মাহমুদা খানম মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তারের রাজধানীর বনশ্রীর বাসা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রীর এভাবে খুন হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত কাপুরুষোচিত ও বর্বরোচিত। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। আইজিপি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। আইজিপি বাবুল আক্তারের দুই সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের খোঁজখবর নেন। তিনি মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় আইজিপি পত্মী বেগম শামসুন্নাহার রহমান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।