রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: গুলশানে হামলাকারী যুবকদের মতো বেশ কয়েকজন যুবক নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছে র্যাব। তারা হলেন, আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম, জুনায়েদ খান, তামিম আহমেদ চৌধুরী, নজিবুল্লাহ আনসারী, এ টিএম তাজউদ্দিন, ইব্রাহীম হাসান খান, জুবায়েদুর রহিম, জুন্নুন শিকদার, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ও মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান। র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ আজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “ইতোমধ্যে আমরা কিছু মিসিং যুবকের খোঁজ পেয়েছি, যারা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তারা জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।” গুলশানে নিহত তিনজন দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের কাছে নিখোঁজ থাকার তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর শোলাকিয়ায় পুলিশের উপর হামলায় জড়িত একজনও আপনজন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন।
সমাজের উচ্চ স্তরের পরিবারের সদস্য এসব যুবক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে হামলা চালানোর সময় নিহত হন বলে পুলিশের দাবি। গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার ১০ যুবকের সন্ধান পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চান তাদের পরিবার।
সূত্র জানায়, রাজধানীর আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর-৫২৫৮৪১৬২৫), সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী (পাসপোর্ট নম্বর-এল ০৬৩৩৪৭৮), ঢাকার ইব্রাহীম হাসান খান (পাসপোর্ট নম্বর-এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বাড্ডার জুনায়েদ খান (পাসপোর্ট নম্বর- এ এফ ৭৪৯৩৩৭৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী, লক্ষ্মীপুরের এ টিএম তাজউদ্দিন (পাসপোর্ট নম্বর- এফ ০৫৮৫৫৬৮), ঢাকার ধানম-ির জুবায়েদুর রহিম (পাসপোর্ট নম্বর-ই ১০৪৭৭১৯), সিলেটের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি (পাসপোর্ট নম্বর-টি কে ৮০৯৯৮৬০) ও জুন্নুন শিকদার (পাসপোর্ট নম্বর-বি ই ০৯৪৯১৭২)। বেনজির আহমেদ বলেন, জঙ্গিদের তালিকা করা, নজরদারি করা একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেটি অব্যাহত রয়েছে।
গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যার পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এর ছয় দিনের মাথায় ঈদের দিনে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের কাছে পুলিশের উপর হামলা হয়। দুই পুলিশ মারা যাওয়ার পর অভিযানে দুই হামলাকারীও নিহত হন। বাংলাদেশে দুই জঙ্গি হামলা ও বাইরের দেশের জঙ্গি হামলার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরও তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।”