মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সামিউল কবির: অকাল বন্যায় ফসলহানীর পর এবার কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ। রোববার (৩০ এপ্রিল) রাতের ওই ঝড়ে উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সদর ইউপি সহ পুরো উপজেলা। রাত ১১টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ে উপড়ে গেছে শতাধিক গাছপালা। সরেজমিনে গিয়া দেখা যায় উপজেলার টিনশেড বাড়ি, ও আধাপাকা ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট ভেঙে পড়েছে, এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চালও উড়ে গেছে। জয়কল ইউনিয়নের ডুংরিয়া, তেঘরিয়া এবং কামরূপদং গ্রামে রাস্তার পাশে ঘর ভেঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাথারিয়া ইউনিয়ের তেহকিয়া, গনিগঞ্জ, আসামপুর, আসনাবাজ, গাজীনগর, নগর, তালুকগাও অনেক গাছ ও ডাল ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। পূর্ববীরগাও ইউনিয়নেও অর্ধ শতাধিক ঘর ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। দরগাপাশার সিচনী, মৌগাঁও, ছয়হাড়া, হরিনগরসহ আশপাশের সবগ্রাম মিলিয়ে ২০/৩০টি ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন, কান্দিগাঁও, ইনাতনগর, নিদনপুরসহ এইসব গ্রামেও অনেক ঘর ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। সূত্র জানায়- উপজেলার প্রবেশ পথ সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, মদনপুর-দিরাই সড়ক, পাগলা-জগন্নাথপুর ভায়া সড়কসহ সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বড় বড় গাছ উপড়ে পরে ছিলো। এতে রাত ভর দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ যাত্রীবাহী সবধরণের যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। তাছাড়া আকস্মিক এই ঘুর্নিঝড়ে এসময় একজন মহিলাসহ ন্যূনতম দুইজন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। আহত দুজনেই হলেন পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামের বাসিন্দা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন জানান, গতরাতের ঝড়ে উপজেলার এক থেকে দেড়শ ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। এদিকে বৈশাখী তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড এলাকা পরিদর্শন করেছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি আবুল কালাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির। তারা নিজেদের এলাকা পরিদর্শন করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।