রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : সমাজের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করলে যে একদিন তার প্রতিদান পাওয়া যায়, তার প্রমাণ হচ্ছে ইতিমধ্যেই তিনি বেশ কিছু পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার এই নিঃস্বার্থ কাজে এলাকায় বেশ আলোড়ন তুলেছে বলে জানা গেছে। পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও সামান্য আয় দিয়েই তিনি সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি করে যাচ্ছেন। তিনি হলেন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মোঃ ফয়জুর রহমান ও মোছাঃ খালিক জাহান বেগমের সন্তান ‘মধুপুর মানবসেবা পরিষদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নেজাবুল ইসলাম।
গত ২৮ আগস্ট ২০১৫ ইংরেজি শুক্রবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতি অডিটোরিয়ামে সমাজসেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ‘শেরে বাংলা একে ফজলুল হক স্মৃতিপদক’ তাকে প্রদান করা হয়। সংগঠনের উদ্যোগে সারা বাংলাদেশের ১৫ জন গুণি ও সফল যুব সংগঠককে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এতে সিলেট বিভাগের একমাত্র সফল যুব সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি।
সূত্র মতে, ১৯৯০ থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছেন নেজাবুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০০ সালে এলাকার যুবকদের নিয়ে গঠন করেন ‘মধুপুর মানবসেবা পরিষদ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। ধারাবাহিক কাজের ফলশ্র“তিতে সংগঠনটি ২০০৩ সালে সমাজসেবা থেকে রেজিস্টেশন প্রাপ্ত হয়। সামাজিক কাজের অগ্রগতির কারণে ২০১২ সালে যুব উন্নয়নে তালিকাভূক্ত হলে তার কাজের গতি আরো বেড়ে যায়। নেজাবুল ইসলাম পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক হয়ো সত্ত্বেও তার সামান্য আয় থেকেই তিনি এলাকায় সর্বপ্রকার তামাক, ধুমপান ও নেশা বিরোধি আন্দোলন করে আসছেন। তার এ সকল কাজে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মধুপুর মানবসেবা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সফল সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তিনি একাধারে যুব সংগঠক, পল্লী চিকিৎসক ও রাজনীতিক। তার এই নিষ্ঠাবান কাজের অনেক স্বীকৃতি ইতিমধ্যেই তিনি পেয়েছেন। পুর®কৃত হয়েছেন অনেক পুরষ্কারে। ‘আমার সুরমা ডটকম’-এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমার সামান্য চেষ্টা ও এলাকার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই এ সফলতা অর্জন হয়েছে। তিনি মনে করেন, সামাজিক কাজে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ করা উচিত। তবেই সমাজ থেকে সকল অনাচার, মাদকের অবাধ ব্যবহার কমে আসবে। আমার আজীবনের সাধনা থাকবে যেন আমাদের এই সোনার বাংলাদেশটি মাদকমুক্ত হয়।
এদিকে গত ২৮ আগস্ট শুক্রবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতি অডিটোরিয়ামে ‘শেরে বাংলা ফজলুল হক স্মৃতিপদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ও সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আমিরুল কবির চৌধুরী। সূত্র মতে, ইতিপূর্বে ২০১২ সালে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ সফল যুব সংগঠক হিসেবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে পুরষ্কারপ্রাপ্ত হন। সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট ২০১৫ তারিখে তিনি তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরষ্কারে ভূষিত হলেন।
অন্যদিকে সফল ও যুব সংগঠক নেজাবুল ইসলামকে তার কাজের স্বীকৃতি দিতে ইতিমধ্যেই আরো দু’টি সংগঠন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকায় তাকে মাসবসেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ‘মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক’ প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন নেজাবুল ইসলাম। এছাড়াও আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শান্তিতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় নেলসন মেন্ডেলা ‘শান্তিপদক’ও তাকে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। নেজাবুল ইসলাম তার এই নিঃস্বার্থ কাজের অগ্রগতির জন্য এলাকাসহ দেশবাসির দোয়া কামনা করেছেন।