সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : দেশে স্বাক্ষরতার হার ৬১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর করা জরিপ অনুযায়ী স্বাক্ষরতার এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছর স্বাক্ষরতা দিবসে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ স্বাক্ষর; আর নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা আড়াই কোটি। সে হিসেবে এবার স্বাক্ষরতার হার কমেছে ৪ শতাংশ।পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সীদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ১০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ স্বাক্ষর। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের স্বাক্ষরতার হার ৮২ দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ৭৫ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ স্বাক্ষর।১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের আন্তর্জাতিক এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘স্বাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূল কথা’। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান মন্ত্রী জানান।সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, দেশে সাত বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ২৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৫২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ স্বাক্ষর।নিরক্ষরতা দূরীকরণে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে সারা দেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর মানুষকে স্বাক্ষরতা দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকরা প্রতি জেলায় চারটি করে এনজিও নির্ধারণ করবেন। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় বর্তমানে ৭৮ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই উপবৃত্তিধারীদের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখে উন্নীত করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেছবাহ উল আলম ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।