বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সিলেট-৪ আসনের সাংসদ ইমরান আহমদ জাপানে গমনেচ্ছুক যুবক ও যুব মহিলাদের (যাদের বয়স ৩২ বছরের কম) জাপানী ভাষা ও ১৫টি ট্রেডের যেকোনো একটিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জাপান বাংলাদেশ থেকে ১৫টি ক্যাটাগরিতে কর্মী নেবে। এ লক্ষ্যে জাপান সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের একটি নতুন শ্রমবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ক্যাটাগরিগুলো হলো- কেয়ার ওয়ার্কার, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইনফরমেশন, কনস্ট্রাকশন, শিপবিল্ডিং বা শিপ মেশিনারি, অটোমোবাইল মেইনটেইনেন্স, অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রি মেশিনারি, অ্যাকোমোডেশন; অ্যাগ্রিকালচার, ফিশারি ও অ্যাকোয়াকালচার; ম্যানোফেকচার অব ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস, ফুড সার্ভিস, ইলেকট্রিক্যাল, মেশিন পার্টস অ্যান্ড টুলিং এবং প্রিকাস্ট ম্যানুফেকচারিং ওয়ার্কস।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ২টায় সিলেট সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য চাই দক্ষতা ও সচেতনতা” শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। তত্ত্বাবধানে ছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফসল হিসেবে জাপান সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন শ্রমবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। গত ২৭ আগস্ট টোকিওতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ফলে বাংলাদেশ এখন জাপানে দক্ষ জনবল প্রেরণের জন্য ৯ম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান, এটি একটি ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন’ পদ্ধতি। দুই দেশের সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্তির পর কর্মীকে কোনো ব্যয় বহন করতে হবে না।
ইমরান আহমদ আরো জানান, ২০১৭ সালের অপর একটি সহযোগিতামূলক মেমোরেন্ডামের ভিত্তিতে জাপানের রিক্রুটিং এজেন্ট ‘আইএম জাপান’ বাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিচ্ছে। ইতিমধ্যে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন হিসেবে জাপানে ৯২ জন কাজ পেয়েছেন। এ প্রক্রিয়াটি এখনও চালু আছে।
ইমরান আহমদ জানান, সরকারি ৩৩টি টিটিসিতে জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সিলেট মহিলা টিটিস ও মৌলভীবাজার টিটিসিতেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দেশে প্রায় ১০০টি বেসরকারি জাপানী ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।