রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর দিরাইয়ে ফিলিস্তিনি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দিরাইয়ে অপারেশন ডেভিল হান্টে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার পুলিশ সদস্যকে অপহরণ ডাকাত দলের, আটক ২ দিরাই উপজেলা জমিয়তের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত আওরঙ্গজেবের সমাধিতে হাত দিলে ভারত ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে: মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব সুনামগঞ্জে পৃথক ধর্ষণ চেষ্টা, বখাটের বাড়িঘর ভাঙচুর, আটক ৩ মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আর নেই, সেনাবাহিনীর শোক শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলায় হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবার জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাঁপছে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

স্প্যানিশ ফ্লু থেকে নেয়া সবচেয়ে মারাত্মক শিক্ষাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গ প্রথমটির চেয়ে মারাত্মক হতে পারে। ওই মহামারিতে ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউরোপের সর্বশেষ অবস্থা থেকে বলা যায়, করোনা মহামরিতেও মহাদেশটি সে্ই পথই ধরণের অনুসরণ করছে। ইসরাইল এবং মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশসহ ৪৬টি দেশের মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০২০ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ওই অঞ্চলে স্বাভবিকের থেকে ২ লাখ ২০ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তিন মাসের মধ্যে আগের তুলনায় অতিরিক্ত ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছর ভাইরাসটি পশ্চিম ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে পূর্ব ব্লকের দেশগুলো দ্রুত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং লকডাউন ব্যবস্থা চালু করেছিল। ফলে সেখানে মহামারি অনেকাংশে এড়ানো যায়। মহাদেশটির বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন এবং সুইডেনে। সেখানে প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে (মার্চ থেকে মে পর্যন্ত গড়) কমপক্ষে অতিরিক্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গ্রীষ্মে মহাদেশজুড়ে দেশগুলো যখন তাদের সীমানা খুলতে শুরু করে, তখন ভাইরাসটি পূর্ব দিকে যেতে সক্ষম হয়েছিল।

পূর্বাঞ্চলীয় সরকারগুলোর প্রকাশিত হাসপাতালে ভর্তির তথ্য থেকে ভয়াবহতা কিছূটা অনুমান করা যায়। বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং ক্রোয়েশিয়াতে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ জন বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পশ্চিমের কোনও ইউরোপীয় দেশেই এই মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হননি।

হিউম্যান মর্টাল্টি ডেটাবেস, জার্মানির ইউসি বার্কলে এবং ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ও আরিয়েল কার্লিনস্কি এবং দিমিত্রি কোবাকের তৈরি ওয়ার্ল্ড মর্টালিটি ডেটাসেটের বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ১১ টি পূর্ব ইউরোপীয় দেশে অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে প্রতি লাখে কমপক্ষে ৪০জন অতিরিক্ত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম তরঙ্গে ভুক্তভোগী যে কোনও পশ্চিম ইউরোপীয় দেশের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com