সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : শুক্রবার যখন তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলছিল তখন প্রথম আঘাতটা এসেছিল তুরস্কের গণমাধ্যমের ওপর। বিদ্রোহী সেনারা হানা দেয় রেডিও, টেলিভিশন এবং পত্রিকা অফিসগুলোতে। সিএনন টার্ক তুর্কী ভাষায় সিএনএন এর নিউজ চ্যানেল এর সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি দখল করে নেয় সৈন্যরা। সেখানকার একজন একজন নারী সাংবাদিক জানিয়েছেন, সৈন্যরা তাকে বন্দুকের মুখে একটি বিবৃতি পড়ে শোনাতে বাধ্য করে। তুরস্কের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘হুরাইয়াত গেজেটেসি’তেও হানা দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। পত্রিকাটির সাংবাদিক এমরে কিযিলকায়া জানান, তার কয়েকজন সহকর্মীকে জিম্মি করে বিদ্রোহী সেনারা।
অভ্যূত্থান শুরু হওয়ার পর বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে যে ‘শান্তি কাউন্সিল’ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে এবং কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই বিদ্রোহীরা গণমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলো ব্লক করে দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটির পর সেনাবাহিনী হানা দেয়া সিএনএন টার্কে। আংকারায় তাদের অফিস ভবনে ঢুকে সেনা সদস্যরা টেলিভিশন ট্যানেলের পরিচালক এবং সম্পাদককে কন্ট্রোল রুম থেকে বের করে দেয়। এরপর এটির লাইভ নিউজ সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগেই সিএনএন টার্ক প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের একটি বক্তব্য প্রচার করে যাতে তিনি জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। মোবাইল ফোন থেকে স্কাইপে তিনি সিএনএন টার্কের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে রয়টার্স জানাচ্ছে, অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব ব্লক করে দিয়েছিল সরকার নিজেই। তিনি তুরস্কের জনগণকে মোবাইল ফোন থেকে টেক্সট মেসেজও পাঠান রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে। সূত্র: বিবিসি