সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে মৎস্যজীবিদের সাথে সন্ত্রাসী বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের তিন নিরীহ ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন দিরাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ। রোববার বিকাল ৫টায় দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান পাভেলের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন করিমপুর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সরদার, জগদল ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ, রফিনগর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজুয়ান খান, তাড়ল ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, চরনারচর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস, রাজানগর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী প্রমুখ। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, দেশবাসি সবাই অবগত আছেন গত ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের ইজারাদার ধনঞ্জয় দাসকে সরিয়ে হাওরপাড়ের বিশেষ একটি বাহিনী দখল করতে গেলে সেখানে মৎস্যজীবিদের সাথে ঐ বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিরীহ লোক মারা যায় ও অনেক লোক আহত হয়েছে। এমন দুঃখজনক ঘটনায় এলাকাবাসিসহ আমরা দিরাই উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণও মর্মাহত। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের ঘটনা একটি মহল তাদের হীন ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য ঘটনার দুইদিন পর নিহত পরিবারের লোকজনকে প্রভাবিত করে হাওর জনপদের কুখ্যাত এক ব্যক্তি মামলার বাদী হয়েছে। সে তার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে অনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষে বাদী হয়ে একটি সাজানো মামলায় দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, দিরাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। অথচ এ ঘটনার সাথে তাদের আদৌ কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার দিন প্রদীপ রায় ঢাকায়, মেয়র পৌর অফিসে মাসিক মিটিংয়ে ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ কার্যলয়ে অফিসিয়াল কাজে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের মিটিংয়ে ছিলেন। আমরা দেখেছি ঘটনাটি দিরাইয়ে জানাজানি হওয়ার পর থেকেই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান লিটনসহ সকল সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাসপাতাল থেকে শুরু করে থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ছুটাছুটি করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে মামলায় সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। যা মামলার সুষ্ট তদন্তের জন্য অন্তরায় হিসেবে আমরা মনে করি। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানগণের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্ভে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা থেকে প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি।