বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
মিজান আহমদ, পাইলগাঁও (জগন্নাথপুর) ইউনিয়ন সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের বসতবাড়ি, হাট-বাজার, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা পানিতে ডুবে রয়েছে। এতে বিপাকে রয়েছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন। সাম্প্রতিক অকাল পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে আরও বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের তথ্যমতে ও সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত। কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ওই ইউনিয়নে পানিতে তলিয়ে যাওয়া কয়েকটি গ্রাম হচ্ছে পাইলগাঁও, হাড়গ্রাম, আলাগদি, মাকরকোনা, দয়াল নগর, তেরাউতিয়া, ঐহারদাস, রমাপতিপুর, উলুকান্দি, নয়াপাড়া, কদরপাড়া, মোজাহিদপুর, খালিশাপাড়া, গাজিরকুল, কাতিয়া, অলতলী, নতুন কসবা, পুরান আলাগদি, সোনাতলা, কদমতলা, জালালপুর গ্রাম্য এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, ঘর-বাড়িতে পানি ডুকে পড়েছে।এতে চরম দুর্ভোগের শিকার গ্রামগঞ্জের লোকজন। ফলে হাট-বাজারে যেতে সমস্যায় পড়েছেন পাইলগাঁও গ্রামের আল-আমিন, জাবেদ, রাশিম, হাড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি ডিজিটাল তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তা শাহ্ আল বেলালসহ অনেকেই জানান।
এ ব্যাপারে পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মখলুছ মিয়া বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ; বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারছিনা। তবে সকল এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা বলেছি। এদিকে উপজেলার রাণীগঞ্জ ও চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ বাজারসহ রাণীনগর, আলমপুর, নোয়াগাঁও, বালিশ্রী, রৌয়াইল, হরিনাকান্দি, মেঘারাকান্দি, কামরাখাই, জয়নগর, টেকইয়া, হলিকোণা, চিলাউড়া, সজনশ্রী, খাগাউড়াসহ আরও ৭-৮টি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারের চিত্র বেহাল অবস্থায় দেখা যায়। বাজারে সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের সকল সবজি বিক্রেতারা তাদের ব্যবসা স্থল পরিবর্তন করেছেন। অনন্যোপায় হয়ে ইট-বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে কোনমতে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ও আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেছি, দাওরাই, বড় শেওড়া, ছোট শেওড়া, কাঠালখাইড়, আটঘর আউদত, আশারকান্দি গ্রামের গ্রামীণ জনপদ অকাল বন্যায় তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আগে বন্যার পরিস্থিতি খারাপ ছিল; দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা হয়েছে। কোনো বরাদ্দ আসলে তা দিয়ে সকল ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বন্ঠন করা হবে।