বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র মহতী উদ্যোগেই অপেক্ষমান ৫/৬ হাজার যাত্রী হজে যেতে পারবেন। যারাই হজ নিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গতকাল সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হজে যেতে অপেক্ষমান বঞ্চিত বৈধ হজযাত্রীগণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সির মালিকরা একথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সিসমূহের আহ্বায়ক ও প্যান ব্রাইট ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী রুহুল আমিন মিন্টু। এতে আরো বক্তব্য রাখেন হাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের অর্থ সম্পাদক আব্দুল কবির খান জামান, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক রেজাউল করিম উজ্জ্বল, হাবের সাবেক নেতা মদিনা এয়ার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মাওলানা ফজলুর রহমান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর। আরো উপস্থিত ছিলেন যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও আটাব সদস্য আব্দুল মতিন ভূইয়া, আল-আরাফা ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মাওলানা যাকারিয়া, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মো. শহীদ উল্লাহ, আল-বারী হজ কাফেলার স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ও আত-তাবলীগ হজ সার্ভিসেসের স্বত্বাধিকারী আলহাজ মুহাম্মদ আব্দুস সালাম সনি। আজ রোববার কোটাবঞ্চিত অপেক্ষমান হজযাত্রীদের সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া না হলে আগামীকাল সোমবার থেকে হাজি ক্যাম্পে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাকিস্তান ও ভারতে হজযাত্রীদের কোটা সংকট দেখা দিলে উভয় দেশের স্ব স্ব প্রধানমন্ত্রী সউদী সরকারের সাথে যোগাযোগ করে সউদী হজ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তাদের কোটা উন্মুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে অপেক্ষমান হজযাত্রীদের সংকট নিরসন হবে। সংবাদ সম্মেলনে হাবের সাবেক নেতা আব্দুল কবির খান জামান বলেন, ইতিপূর্বে ওমরার নামে সউদী আরবে মানব পাচারের কারণে ওমরা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, অসাধু হজ এজেন্সি হুমায়রা ট্রাভেলস মোবাইল সিম, জয়ধার, নামে মুয়াল্লেম ফি জমা দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে হজযাত্রীর নামে চাকরি সন্ধানকারী পাঠিয়েছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রিপ্লেসমেন্টের মাধ্যমেও এবার হজের নামে প্রায় ১০ হাজার মানব পাচার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ধর্ম সচিবের নিদের্শে হাজি ক্যাম্পের নিকটে একটি হোটেল ৬শ’ হজযাত্রীর পাসপোর্ট সিন্ডিকেটরা জড়ো করেছিল। পুলিশি অভিযানে সাড়ে ৪শ’ পাসপোর্ট উদ্ধার করা হলেও তাদের বিচার হয়নি। রেজাউল করিম উজ্জ্বল বলেন, ধর্ম সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, যুগবম সচিব , পরিচালক হজ ড. আবু সালেহ ও হাব নেতাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়ায় কোটাবঞ্চিত প্রকৃত হজযাত্রীরা আজ হজে যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, ২ হাজার ৫০ জনের ভুয়া ডাটা এন্ট্রির পরিবর্তে টাকা খেয়ে অন্য হজযাত্রীদের হজে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। রেজাউল করিম উজ্জ্বল বলেন, হাব নেতারা ওমরার নামে সউদীতে মানব পাচারের ঘটনায় জড়িত। এসব হাব নেতাদের তিনি পদত্যাগের জোর দাবি জানান। তারা অবিলম্বে অপেক্ষমান হজযাত্রীদের হজে প্রেরণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার জোর দাবি জানান।