বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত হয়েছে ১৫ জন। সোমবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাচনা কালীবাড়ি গ্রামের রাজা মিয়াগং ও অজিত গংদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলাসহ ১৫ জন আহত হয়। রাজা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল গফুর মিয়া বাড়ির সীমানায় আম গাছের চাড়াগুলো কে বা কারা রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেললে পার্শ্ববর্তী সীমানায় আমাদের বাড়ি হওয়ায় অজিত গংদের সন্দেহের তীর বাধে আমাদের প্রতি। এ নিয়ে কানাঘোষার এক পর্য়ায়ে কথা কাটাকাটি হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজন সোমবার বিকেলে শালিসে বসার কথা থাকলেও অনুমান ভোর ৬টা থেকে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়ির সীমানায় ওৎপেতে বসে থাকলে আমাদের লোকজন ঘুম থেকে ওঠে ব্যবসার কাজে বাজারে যাওয়ার সময় ঘর থেকে বের হলে লতু মিয়াকে (৬০) এলোপাতারি মারধর শুরু করে। তার আর্তচিৎকারে নারীসহ আমরা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের বাড়ির সীমানার পাশাপাশি দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি লতু মিয়াকে মারধর করছে, লতু মিয়ার প্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসলে অজিত মিয়ার নেতৃত্বে সবাই আমাদের বাড়ির সীমানায় ঢুকে নারীসহ সবাইকে মারধর করে আহত করে। অজিত মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আব্দুল গফুরের বাড়ির সীমানায় লাগানো চারাগাছ ভাঙা দেখে আমরা মাতামাতির এক পর্যায়ে রাজা মিয়াগংরা বলে তোমাদের সন্দেহতো আমরা ভাঙছি, কইয়ালাও আমরার কথা-এই নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। আহতরা হলেন মকবুল হোসেন (৩৮), আলী হোসেন (৩০), মোমেনা খাতুন (৬৫), শাহানা বেগম (২৮), লতু মিয়া (৬৫), আলী আমজদ (৪০), মাহমদ আলী (২৮), টিপু মিয়া (১৪)। গুরুতর আহত মকবুল হোসেন ও শাহানা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাকি আহতরা জামালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আইন শৃঙ্খলা শান্ত আছে, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।