তিনি জমিয়তের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন এবং আসাম প্রাদেশিক জমিয়তের জেনারেল সেক্রেটারী ছিলেন যে কমিটির সভাপতি ছিলেন শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রাহ.-এর শাগরিদ ও খলীফা আল্লামা সহুল উসমানী রাহ.।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ,খেলাফত আন্দোলন , অসহযোগ আন্দোলন ,আজাদী আন্দোলন ও সিলেটের গণভোটের সংগ্রামী নেতা ,বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাগ্মী মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী রাহ.-এর জীবনী গ্রন্থের এক প্রকাশনা উৎসব পূর্ব লণ্ডনের আল খায়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় । বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও লেখক মাওলানা আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে ও কে এম আবু তাহের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার কাউন্সিলার সুলুক আহমদ ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্টের অনারারী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মফিজুর রহমান , বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদের সালেহ, ইউকে জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি, টিভি ভাষ্যকার মুফতি আব্দুল মুনতাকিম ,মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়েখ এমদাদুর রহমান আল মাদানী ,লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান ও কাউন্সিলার বদরুল চৌধুরী । সভায় পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওত করেন মুফতি সৈয়দ মাহমুদ আলী ।‘কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী’ গ্রন্থের উপর সিলেটের কবি ও সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন সালেহ লিখিত রিভিউ পেশ করেন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনীর স্বরচিত জীবনী তুলে ধরেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আজিজুল আম্বিয়া ।সিংকাপনী মাওলানা পরিবার সম্পর্কে ডঃ মোহাম্মদ আবুল লেইসের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রিদওয়ান আব্দুর রহমান চৌধুরী ।
আলোচনায় অংশ নেন -বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা ,রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি নেতা মাহিদুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকের সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, সহ-সভাপতি হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথী, জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ নায়ীম আহমদ , বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি সালেহ আহমদ, মাওলানা আবুল হাসনাত চৌধুরী ,বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা রফিক উল্লা ,আব্দুল মুকিত ,মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ জকিগন্জী ,অধ্যাপক এ কে শহীদুর রহমান ,কমিউনিটি নেতা হাজী আব্দুল বারী ,কমিউনিটি নেতা আব্দুর রব ,কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী ,কাউন্সিলার দীনা হোসেন ,আমির উদ্দিন আহমদ মাষ্টার ,আলহাজ্ব নুর বক্স ,কবি শিহাবুজ্জামান কামাল ,হাজী ফারুক মিয়া ,কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট জইন মিয়া ,মিছবাউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ ।স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আবু হোসেন ও হাজী আব্দাল মিয়া ।সভায় উপস্থিত ছিলেন -দাওয়াতুল ইসলামের সেক্রেটারী আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ,ট্রেজারার শাব্বির আহমদ কাওছার ,মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী ,মাওলানা রিদওয়ান আহমদ ,মুফতি আব্দুল ওয়াদুদ লতিফী ,কমিউনিটি নেতা জামান আহমদসসিদ্দিকী ,সমাজসেবী আবুল বাশার ,সাদেকুল আমিন ,কবি নোমান চৌধুরী ,ইকবাল হামিদ চৌধুরী ,ওমর ফারুক সুহেল ,সুহেল হামিদ চৌধুরী ,রুহুল আফসার মোহাম্মদ মোরশেদ ,আখলাকুর রহমান ,আব্দুল করিম প্রমুখ অতিথিবৃন্দ ।
সভায় বক্তারা বলেন -মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী ও তাদের ভ্রাতাগণ দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার প্রচার প্রসার ,সাহিত্য-সাংবাদিকতা ,রাজনীতি ,কৃষির সম্প্রসারণ ও উপমহাদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলনে যে অবদান রেখেছেন তা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে ।বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ সৈয়দ জয়নাল আবেদীন এবং পরবর্তীতে কে এম আবুতাহের চৌধুরী ও মুফতি দেওয়ান আব্দুল রাজা চৌধুরী বর্ধিত কলেবরে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী জীবনী লিখে ইতিহাসের এক মূল্যবান দলীল রচনা করেছেন ।যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক ইতিহাস হয়ে থাকবে ।
বক্তারা বলেন -মাওলানা সিংকাপনী ব্রাদার্স ও উপমহাদেশের স্বাধীনতাকামী মুসলমানরা যদি বৃটিশ বেনিয়াদের পৌনে দুইশ’ বছরের গোলামীর জিন্জির ভেঙে পাকিস্তান রাষ্ট্র না করতেন তাহলে আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রও স্বাধীন হতো না ।মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী গ্রন্থে অনেক মূল্যবান দলীল ও তথ্য রয়েছে ।১৯৪৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের উজিরে আজম খাজা নাজিম উদ্দিন সিলেট সফরে এলে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী যে ২২দফা দাবী পেশ করেছিলেন তা আজ ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সভায় দোয়া পরিচালনা করেন -মুফতি আব্দুল মুনতাকিম ।সভা শেষে শিরনী বিতরন করা হয় ।