রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন
এমএম ইলিয়াছ আলী, দক্ষিণ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষকদল, ছাত্রদলের আয়োজনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাওর রক্ষা বাঁধে ঠিকাদারের কাজে গাফিলতি করার কারণে দেখার হাওরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা ও ঠিকাদারের শাস্তির দাবিতে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহ¯পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলার পাগলা বাজারের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নেতাকর্মী ও স্থানীয় কৃষকরা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। মানববন্ধনে উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রওশন খান সাগরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক আবুল কাসেমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট ছাবিকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট জালাল আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, আওলাদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মতিউর রহমান, আরাফাত আলী, নুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, তফজ্জুল হোসেন, জাফর ছাদেক লেবু, দিদার চৌধুরী, নুর উদ্দিন, আসকির আলী, সলিব নুর বাচ্চু, তোফায়েল আহমদ, আবুল খয়ের, সিতু মিয়া, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফখর উদ্দিন কনু শাহ, উপজেলা যুবদল নেতা, শাহ জামান, সুমন মিয়া, আক্তারুজ্জামান, আলী হোসেন, কয়েছ, জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা লিটন আহমদ, হুমায়ুন কবির, ছমির উদ্দিন, মানসুর আহমেদ, নাছির আহমদ, হারুন রশিদ, কাওছার আহমদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, ঠিকাদারের সাথে কমিশন খেয়ে আমাদের উপজেলা পর্যায়ের ১ জন জনপ্রতিনিধি সময় মত কাজ করান নি। তারা মিলেমিশে কৃষকের অন্ন কেড়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমিও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম, আমার আমলে কোন হাওরেও এভাবে পানি ঢুকেনি। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি তো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আপনি কয় দিন হাওরে গিয়েছেন, কেন সময় মত কাজ তদারকি করেন নাই। আপনি তো হাওর রক্ষা বাঁধের উপদেষ্টা। সাধারণ মানুষ সব জানে, কে কি করেছেন, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করার হিসাব একদিন দিতে হবে। তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে মিটিং-মিছিল করা আপনার কাজ না।
এ সময় তিনি সরকারের কাছে ৩ দফা দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণা করা, প্রতি ইউনিয়নের ৪ হাজার কৃষককে প্রতিদিন ৪ কেজি করে চাল ও কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ করে নতুন করে ঋণ দিতে হবে ও আগামি মৌসুমে কৃষদের বিনামূল্যে বীজ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল-আটার দাম বাড়িয়ে যে সিন্ডিকেট করেছে তা ডাকাতির সমান। এটা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, দেখার হাওর অংশে মেসার্স খন্দকার শাহীন আহমদ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার কাজ পেয়েছিল, তারা ৫ লাখ টাকার কাজও দেখার হাওরে করায় নি, আর তাই তাদের গাফিলতির কারণে দেখার হাওর তলিয়ে গেছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও মেসার্স খন্দকার শাহীন আহমদ ও তাদের সাথে পার্শেন্টিসে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।