মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক পরে কিছু দুর্বৃত্ত আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিসে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ঘটনায় আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শিক্ষার্থীদের বর্তমান দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিচ্ছে। পাথর-লাঠি-আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী হামলা করতে পারে না। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা দেশকে অশান্ত করতে চায় বলে এটা করছে। এটা বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র।
প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, আন্দোলনকারীরা তোমরা ঘরে ফিরে যাও। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে পরিস্থিতি সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ১টার দিকে সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে স্কুলের ড্রেস পরা কিশোররা ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের দিকে ছুটে যায়। এসময় তারা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বের হয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। এতে তারা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। দেড় ঘণ্টা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলতে থাকে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়া হয়।
সংঘর্ষের সময় গুলি ছোড়ার দাবিও করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ। তবে কারা গুলি ছুড়েছে তা তারা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুজনকে পুলিশ আটকে বেধড়ক মারধরের পর ধানমন্ডি থানার দিকে এবং আরেকজনকে ছাত্রলীগের নেতারা বেধড়ক মারধর করে দলীয় অফিসের দিকে নিয়ে গেছে। তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত ধৈর্য ধরে আছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’