এ পর্যন্ত হামলায় আহত চার ছাত্রকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ খবর জানতে পেরে সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত জামিয়া ইউনুসিয়ার কয়েকজন ছাত্র সন্ধ্যার সময় সম্মেলন কর্তৃপক্ষকে বলেন, ইসলামের নামে এমন অনুষ্ঠান করা যাবে না, তাছাড়া আপনারা প্রশাসনের অনুমতিও নেননি। ছাত্ররা তাদেরকে সম্মেলন বন্ধ করার জন্য এ কথা বললে তারা ছাত্রদের দিকে তেড়ে আসে।
হামলায় আহত জামিয়া ইউনুসিয়ার ছাত্র আবু বকর এ প্রতিবেদককে বলেন, কাদিয়ানিরা যখন আমাদের দিকে তেড়ে আসে তখন অল্প কয়েকজন ছিলাম আমরা। বিতণ্ডার কথা জানতে পেরে খতমে নবুওত মাদরাসার ছাত্ররাও এসে হাজির হন। তখন ফুটে ওঠে কাদিয়ানিদের আসল রূপ। তারা পূর্ব থেকেই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল। খতমে নবুওতের ছাত্ররা ছুটে আসতেই তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, অস্ত্রের মুখে আমরা ঠিকতে না পেরে খতমে নবুওত মাদরাসার দিকে গেলে তারা মাদরাসা পর্যন্ত আসে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে। এ সময় জামিয়া ইউনুসিয়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে চারজনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাদিয়ানিরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মাদরাসার দিকে এগিয়ে যাবার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাজির হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।