সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় যেসব লোকজন ইউনিয়ন থেকে অন্যত্র চলে গেছেন কিংবা মারা গেছেন তাদের যাচাই বাছাই করে নতুন ও পুরাতনের সমন্বয়ে ৫ শতাধিক উপকারভোগীর মধ্যে সংশোধিত কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ইউনিয়নের চরনারচর বাজারে সাধারন ও অসহায় উপকারভোগীদের মধ্যে নতুন কার্ড বিতরণ করেন চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার।
এ সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চরনারচর বাজারের ডিলার রনজিৎ বৈদ্য গৌরভক্ত রায়, মোঃ আতাউর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আজিজুল হক,মোঃ সেলিম মিয়া,১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য চিত্ত সূত্রধর,২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সত্যবান বৈষ্ণব প্রমুখ।
চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার বলেন,বৈশ্বিক এই প্রাণঘাতি মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুভার্ব সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকার পাশাপাশি তিনদফা বন্যায় সুনামগঞ্জের অধিকাংশ মানুষজন কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছেন। কিন্ত সরকারের তরফ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কর্মহীন মানুষজনের মধ্যে ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সকল অসহায় কার্ডধারী জনগনকে চিহিৃত করে নতুন ও পুরাতন কার্ডধারী যারা ইউনিয়নে রয়েছেন কিংবা অন্যত্র চলে গেছেন আবার কেউ কেউ মারা গেছেন তাদের তথ্য খোঁজে বের করে নতুন ও পুরাতনের সমন্বয়ে ইউনিয়নের প্রকৃত অসহায় ৫০০ জনের তালিকা প্রনয়ন করে তাদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি ধরে চাল কেনার সুযোগ সৃষ্টির অংশ হিসেবেই এই কার্ডগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। ফলে একজন কার্ডধারী প্রতিমাসে ১০টাকা কেজি ধরে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন বলে জানান। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত চরনারচর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষজনের পাশে থেকে নিরলসভাবে সেবা করার অঙ্গীকার পূর্ণব্যক্ত করেন।