রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নে খেজুরগাছ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তের উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শাখা সংগঠন যুব জমিয়ত বাংলাদেশ জাউয়াবাজার ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি আশহাদুল হক মনজু। ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাইতকোণা গ্রামের এনামুল হক ও মোছাঃ ছায়ারুন নেছা দম্পতির সন্তান মুফতি আশহাদুল হক মনজু বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা সিলেট থেকে দাওরায়ে হাদিস সমাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি একাধারে মুফতি, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির। ৩ মেয়ে সন্তানের জনক মুফতি আশহাদুল হক মনজু কাইতকোণা তাওয়াক্কুলিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল। তিনি জনতার স্বপ্ন জাউয়াবাজারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি শিক্ষকতা ও ইসলামি ব্যাংকিংয়ের উপর তার প্রশিক্ষণ রয়েছে।
উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তের উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে তিনি খেজুরগাছ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি আশাবাদী, এ ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ, আলেম-উলামাসহ সর্বস্তরের জনগণের বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন।
একটি আদর্শ ও মডেল ইউনিয়ন গড়তে তিনি নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। নিম্ন তা উল্লেখ করা হল।
আগামি ১১ নভেম্বর ২০২১ইং ইউ/পি নির্বাচনে প্রিন্সিপাল মুফতী আসহাদুল হক, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘খেজুরগাছ’ মার্কায় আপনাদের মুল্যবান ভোট, দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশী। যদি মহান আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে চেয়ারম্যান হতে পারি তাহলে উক্ত ইউনিয়ন নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা নিম্নে পেশ করলাম।
১. ইনশাআল্লাহ শতভাগ মাদক-সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত ইউনিয়ন গড়া হবে। ২. চোর-ডাকাতমুক্ত ইউনিয়ন গড়া হবে। ৩. পরিষদের পক্ষ হতে আলাদাভাবে ইমাম-মুয়াজ্জিনগণের ভাতার ব্যাবস্থা করা হবে। ৪. সকালের মক্তবগুলোকে নির্দিষ্ট সিলেবাসের মাধ্যমে উন্নত করা হবে। ৫. সংখালঘুদের ন্যায্য অধিকার আদায় করা হবে। ৬. শতভাগ যৌতুকমুক্ত ইউনিয়ন করা হবে। ৭. গরীব-অসহায় যুবক-যুবতীদের যৌতুকবিহীন সহজ উপায়ে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। ৮. ইউনিয়নের আওতাধীন যতগুলো বাজার রয়েছে, সবগুলো বাজার পরিচ্ছন্ন ও মডেল বাজার বানানো হবে। ৯. ইউনিয়ন পরিষদকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মুক্ত রাখা হবে। ১০. সরকারি-বেসরকারি বরাদ্দকৃত সকল বাজেট সমূহকে শতভাগ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হবে ইনশাআল্লাহ। ১১. যথা সম্ভব ন্যায় ও সু-বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১২. প্রতিটি ওয়ার্ডের মূল পয়েন্টে একটি করে অভিযোগ বক্স দেয়া হবে এবং পরিষদের প্রধান ফটকে একটি অভিযোগ বক্স রাখা হবে। যেখানে ইউনিয়নের প্রতিটি নাগরিক স্বাধীনভাবে যে কোন পরামর্শ, মতামত, অভিযোগ উপস্থাপন করতে পারবে। এরপর প্রতি মাসে বক্সটি খোলে পরিষদের সকল সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে সমাধান করা হবে ইনশাআল্লাহ। ১৩. বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতাসহ যত ধরণের সেবা পরিষদের পক্ষ থেকে জনগণকে দেয়া হয়, সেখানে যদি সরকারি কোন ফি থাকে বা অফিসিয়াল কোন খরচ থাকে, তাহলে শুধুমাত্র তাই নেয়া হবে, এর বাহিরে কোন ধরণের খরচ নেয়া হবে না। ১৪. পরিষদের সেবাসমূহ পেতে কোন বাধা-বিপত্তি ও পেরেশানির সম্মুখিন হতে হবে না বরং যথা সময়ে সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ। ১৫. ইউনিয়নের ভেতরে যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোকে আরো সার্বিক উন্নতির চেষ্টা করা হবে। ১৬. ইউনিয়নবাসির নৈতিক চরিত্র উন্নত করতে যথাযত ব্যবস্থা করা হবে। ১৭. সর্বোপরি আমাদের এই ইউনিয়নটি যেন সিলেট বিভাগের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হয়, সেই জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ। সকলের কাছে দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে মানযিলে মাকসুদে পৌছে দেন। আমিন।