শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
জাপা মহাসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জাপা মহাসচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

filemmmmআমার সুরমা ডটকম : যশোরের একটি দুর্নীতি মামলায় জাতীয়পার্টির (জাপা) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই নির্দেশ দেন। একই সাথে এই মামলার অপর আসামি মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। আসামি মীর শহিদুল্লাহ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ কেরুয়া গ্রামের হাজী মীর আবদুর রশিদের ছেলে এবং যশোরের নওয়াপাড়ার বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সাবেক প্রধান সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আদালত সূত্র জানায়, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে চাকরি করার সময়ে ১৯৮৮ সালের ৬ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল্লাহ চাকরিচ্যুত হন। ১৯৮৯ সালের ১৭ আগস্ট বেতনবিহীন শর্ত সাপেক্ষে বস্ত্র ও শিল্প করপোরেশন মন্ত্রণালয়ের আদেশে আবার তার চাকরি বহাল রাখা হয়। সে মোতাবেক পাঁচদিন পর ২৩ আগস্ট তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু তখন বস্ত্র ও শিল্পমন্ত্রী বর্তমান জাতীয়পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল হক এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগসাজসে ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট এক লাখ ৬১১ টাকা বেতন উত্তোলন করেন। এই অনিয়মের ঘটনায় তৎকালীন যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুখরঞ্জন জমাদ্দার বাদী হয়ে ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই অভয়নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় মীর শহিদুল্লাহ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল হক এবং হুমায়ুন কবিরসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাসার এ মামলায় মীর শহিদুল্লাহ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। অব্যাহতি পান নুরুল হক হুমায়ুন কবির। এরপর ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি রুহুল আমিন হাওলাদার যশোর আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু এরপর আর তিনি আদালতে হাজিরা দেননি। সে কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি মীর শহিদুল্লাহও এতোদিন পলাতক ছিলেন। সোমবার মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই সাথে রুহুল আমিন হাওলাদারের গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com