রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সারাদেশে চলতি জুলাই মাসে ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাভ করে। তন্মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় দু’দফায় ১২টি বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু এ তালিকায় পঞ্চখন্ডের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নিজ নির্বাচনী এলাকার দু’উপজেলা বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের কোন বিদ্যালয় স্থান পায়নি। এতে করে স্থানীয় জনমনে শিক্ষামন্ত্রীর উপর ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। খোদ আওয়ামীলীগের অনেক দায়িত্বশীল নেতাও এ নিয়ে মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে। বিয়ানীবাজারের সন্তান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মন্ত্রী হবার পর থেকে বিয়ানীবাজারের দুটি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। কিন্তু আজোও সে প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেননি। গত ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী সারাদেশের ৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণ করার অনুমোদন দিয়েছেন। তন্মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার ৭টি বিদ্যালয় ছিল।
সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় সিলেট বিভাগের আরো ৫টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনোমুদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু এবারও বঞ্চিত হলো শিক্ষামন্ত্রীর বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ। এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা বলেন, আমাদের মন্ত্রী মহোদয় নিজেকে সারাদেশের মন্ত্রী বলে জাহির করতে গিয়ে, বাহির থেকে বাহবা কুড়ানোর প্রত্যাশায় নিজ উপজেলাকে ইচ্ছে করে পেছনে ফেলছেন। কিন্তু স্মরণ রাখা উচিত এই জনপদের মানুষের ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় পরে মন্ত্রী হয়েছেন। মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বিযানীবাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পিএইচজি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাসিব জীবন বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলো অথচ বিয়ানীবাজার উপজেলায় একটিও নেই। এতে করে করে স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ানীবাজারবাসী হতাশ। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণে তালিকায় বিয়ানীবাজার প্রাথমিক ভাবে উপেক্ষিত হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় কাজ করছেন। শীঘ্রই বিয়ানীবাজারবাসী এ বিষয়ে সুখবর পাবে।