রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
ঈদের ছুটিতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাংহাই ওয়াটার পার্কে উপছেপড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাংহাই ওয়াটার পার্কে উপছেপড়া ভিড়

সামিউল কবির, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সদরের বিনোদনকারী মানুষের এই ঈদে আনন্দদায়ক সময় কাটানোর একমাত্র নৈসর্গিক সৌন্দর্যময় স্থান হয়ে উঠছে “সাংহাই ওয়াটার পার্ক” স্থানীয় কিছু মানুষের মনে এর আগে যা মিনি কক্সবাজার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। সরেজমিনে জানা যায়, ঈদের দিন থেকে এখানে স্থানীয় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। এলাকার বাহিরে থাকা সরকারী বেসরকারি চাকুরীজীবীদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে দেখা গেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পর্যটকদের আনা গোনায় সাংহাই ওয়াটার পার্ক এখন মুখরিত। উপজেলার একমাত্র বিখ্যাত হাওর হলো সাংহাই, শান্তিগঞ্জ বাজার হতে ডুংরিয়া হয়ে আর তার ঠিক হাওরের মাঝ ভেদ করে টালাই’র সাদা পাকা রাস্তা দুর থেকে হাওরের মধ্যখানে ভেলার মতো ভাসমান গ্রাম, ছোট ছোট টেউ-এর অম্ল মিতালী, সৃর্যের আলোকরশ্মির পানির উপরে যে জল ঝিলিকের খেলা সত্যিই তা দেখার মতো, এসব দেখার জন্য ঈদে প্রতিদিন স্থানীয় মানুষদের উপছেপড়া ভিড় ছিলো লক্ষণীয়! যেমন ঈদের ছুটি উপভোগ করতে ঈদের দিন বিকাল থেকেই মানুষ নৌকায় মাইক, ডোল বাজিয়ে বিভিন্ন রঙ্গে সজ্জিত হয়ে দর্শনার্থীরা বিনোদিত হচ্ছেন এবং গান-বাজনা করে স্থানীয়দের বিনোদিত করছেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে আকর্ষনীয় এই সাংহাই ওয়াটার পার্কে তিল ধারনের টাই ছিলো না। উপজেলার একদল তরুন এসেছেন প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কথা হয় রাজরানী রেষ্টুরেন্টের পরিচালক শ্যামল বাবুর সাথে তিনি জানান, “সাংহাই ওয়াটার পার্ক” হাওরের আকর্ষণীয় সম্পটগুলোর মধ্যে খুব সুন্দর জায়গা তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না।”

তিনি বলেন, ‌‘‘যদি এই স্পটটির যত্ন নিয়ে গড়ে তোলা হয় তাহলে আরও পর্যটকদের সমগম ঘটবে।” সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র ফয়সল আহমেদ উনার ফেইসবুকে ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন যে “সাংহাই ওয়াটার পার্ক অসাধারণ একটি জায়গা। যেখানে গেলে মানুষ মাত্রই প্রকৃতির প্রেমে পরতে বাধ্য। যেখানকার অবিরত বাতাস দেহ মনকে ক্ষনিকের জন্য নিয়ে যাবে সাগর পাড়ের আবহে। যেখানে প্রাণ খোলে গান গেয়ে প্রফুল্ল মনে বাড়ি ফিরতে যায় অসংখ্য তরুণ” এদিকে ডুংরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী খালেদ হাসান ও বুরহান উদ্দিন জানান, যে আমরা কয়জন প্রায় সময় গভীর রাতেও গিয়া ওখানে আড্ডা দেই এবং আমরা মনে করি যে কোলাহল বাতাস ইহা যেনো এক সত্যিকারের মিনি কক্সবাজার। এখানে বেড়াতে আসা দর্শানার্থী সুলেমান কবির জানান “জায়গাটি খুব সুন্দর তাছাড়া জল জোৎস্নার পাঠ মানুষকে কোমল করে ও মানুষকে করে তুলে মানুষ” বেড়াতে আসা আরেক আওয়ামীলীগ নেতা মারুফ হোসেন মুজিব বলেন, সরকারীভাবে যদি এখানে আরও কিছু সহযোগীতা করা হয় ভবিষৎতে পর্যটক দের আরও ভিড় বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com