মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল পাকা একটি সমস্যা। অনেকে সাদা হয়ে যাওয়া চুল কালো করতে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন। কিন্তু এবার আর চুলে কিছু না মাখিয়েই কেবল ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে চুলের কালো রং ফিরিয়ে আনার সম্ভব বলেই দাবি গবেষকদের। চুলের এমন রং পরিবর্তনকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বলা হয়। অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার ও তার গবেষক দল দেহের এ প্রক্রিয়া ঠেকানোর ওষুধ বের করেছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল কেন পাকে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করেছেন অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার ও তার গবেষক দল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোড়ায় জমা হতে থাকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের একটি রাসায়নিক উপাদান। চুলের গোড়ায় জমা হওয়া এই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড শেষ পর্যন্ত ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং চুলের আসল রং নষ্ট করে দেয়।
অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার ও তার গবেষক দল এখন চুলের গোড়া থেকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড সরিয়ে দেওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন। তবে, এ প্রক্রিয়ায় চুলের রং সাদা হওয়া পুরোপুরি ঠেকানো যাবে কিনা তা এখনো পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়নি।
শ্বেতী আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর ওপর তাঁদের এই চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা চালান ব্রিটেনের ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার এবং উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় জার্মানির গ্রিফসওয়াল্ড বিশ্ববিদ্যালয়। মেলানোসাইট নামে ত্বকে এক জাতীয় কোষকলা আছে। এসব কোষকলা মেলানিন নামে একটি রঞ্জক বা রং সৃষ্টিকারী উপাদান তৈরি করে বলেই মানব ত্বকের স্বাভাবিক রংটি দেখতে পাই । শ্বেতী হলে এই রং সৃষ্টি করার উপাদান আর দেহে উৎপন্ন হয় না। এ কারণে ত্বকে একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাওয়া যায়। আর একেই শ্বেতী বলা হয়। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন,তাদের আবিষ্কৃত ওষুধ খাওয়ানোর পর ফিরে এসেছে শ্বেতী রোগে আক্রান্ত রোগীর ত্বক ও চোখের পাপড়ির স্বাভাবিক রং। এফএএসইবি সাময়িকীর সম্পাদক এ ওষুধ প্রসঙ্গে লিখেছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সাদা চুলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নানা ওষুধ বের হয়েছে। এই প্রথম একটি চিকিৎসা বের হল যা সংকটের মূলে পৌঁছাতে পেরেছে। যাদের চুল পাকছে তাদের জন্য এটা একটা সুখবর এবং আরও সুখবর হল এ চিকিৎসায় শ্বেতী রোগও সারছে।