রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স: জঙ্গিবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরসহ কয়েকটি দেশ। এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেয় দোহা। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই সপ্তাহ পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারকে ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় চার দেশ। শর্ত পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। সে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ২ জুলাই রবিবার সেই সময়সীমা দুই দিন বাড়ানোর কথা জানায় সৌদি সূত্র।
মঙ্গলবার শেষ হয় সেই বর্ধিত দুই দিন। কুয়েতকে শর্তের জবাব দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-থানি জানান, ‘এটা আসলে সন্ত্রাসবাদের বিষয় না। এটা বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ।’ মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতকে জবাবে দিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তিনি বলেন, এই শর্ত মানা সম্ভব না হলেও সংলাপের মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করতে চায় কাতার। সংকটের শুরু থেকেই কাতার এর সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ দোহার সঙ্গে সৌদি জোটের বিরোধ নিরসনে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। সোমবার ১৩ দফা শর্তের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানাতে কুয়েত যান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির লেখা চিঠিটি কুয়েতের আমিরের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। তবে কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে উপস্থাপনকৃত চিঠিতে কী লেখা আছে তা এখনও জানানো হয়নি।