সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক: রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠকে মিলিত হচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমার সরকার যে আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করেছিল তার প্রধান ছিলেন কফি আনান। আনান কমিশন নামেই সেটি পরিচিতি পায়। তবে তার দাফতরিক নাম ছিল রাখাইন উপদেষ্টা কমিশন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, আগামী সপ্তাহে কফি আনানের বক্তব্য শুনবে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনি ৮৮টি সুপারিশ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত ওলফ স্কুগ সিএনএনকে বলেন, কফি আনানের প্রতিবেদনে সামনে এগোনোর পথ বলে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের দায়িত্ব এর আলোকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান করা।
নিরাপত্তা পরিষদে বর্তমানে যে ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য, সুইডেন তার একটি। নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গত এক মাসে তিন দফা বৈঠক করেছে।
এর মধ্যে ৩০ আগস্ট ও ১৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠক ছিল রুদ্ধদ্বার। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় উন্মুক্ত বৈঠকের। এ বৈঠকে বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয় জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কফি আনানের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ছয়জন এবং নেদারল্যান্ডস ও লেবাননের দু’জন নাগরিককে নিয়ে নয় সদস্যের কমিশন গঠন করে অং সান সু চির সরকার। কমিশনের সদস্যরা মিয়ানমারের সিত্তু, মংডু, বুথিডং, ইয়াঙ্গুন, নেপিদো ছাড়াও ব্যাংকক, ঢাকা, কক্সবাজার ও জেনেভায় অন্তত ১৫৫টি বৈঠক করে।
প্রায় ১১০০ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে। আনান কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ৮৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রাখাইনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, লোকজনের অবাধ চলাচল ও নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
২৪ আগস্ট কমিশন তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেদিন রাতেই কথিত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা রাখাইনে সেনা চেৌকিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী।