বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন
চান মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): ছাতকে হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুঠপাটসহ তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করেছে মামলার বাদি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে এক লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করা হয়। নোয়ারাই ইউপির মির্জাপুর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়ার স্ত্রী কালাবি বেগম এ অভিযোগে বলেন, গত ২১ আগস্ট সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে নোয়ারাই ইউপির মির্জাপুর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়ার স্ত্রী কালাবি বেগম এ অভিযোগে বলেন, ১৮ আগস্ট একই গ্রামের লিয়াকত আলীর বাড়ির রাস্তায় তার নেতৃত্বে কবির উদ্দিন, আনকার মিয়া, নূরুল আমিন, সুনা মিয়া, আরজদ আলী, আইনুল, ওয়ারিছ আলী, জহিরুল হক, নূরুল হক (ফকির), ছমির আলী, আল আমিন, রুপতার আলীসহ ১৩ ব্যক্তি তার উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল তার আত্মীয় প্রতিবেশি রমজান আলীর বাড়ির পাশের পতিত জমিতে সালিশ বৈঠকে রমজান আলী ও লিয়াকত আলীর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ওয়ারিছ আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে একটি মামলা (নং জিআর ১০০/২০১৬ইং) ও কালাবি ওরফে বতনী বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ ওয়ারিছ আলীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় ভাংচুর ও লুঠপাটের মামলা (নং জিআর ১১৮/২০১৬ইং) দায়ের করেন।
এদিকে ওয়ারিছ আলীর মামলায় তাদের পক্ষের অনেকে পলাতক ও হাজতে থাকায় লিয়াকত আলীসহ তার সহযোগিরা বেপরোয়া হয়ে আসামিদের যাবতীয় সম্পদে হরিলুঠ শুরু করে। তারা রমজান আলী, ইদন আলী, ইদ্রিছ আলী, মদরিছ আলী, নিজাম, মাইন উদ্দিনসহ অন্যান্যদের পাকা ও কাঁচা বসতঘর ভাংচুর, ধান, চাল, দরজা, জানালা, মালামাল, গাছপালা, টিউবওয়েল, চালের টিনসহ যাবতিয় মামলামাল লুঠ ও বসতঘর ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া ইদন আলী ১৪ মাস কারাভোগের পর বেরিয়ে বাড়ি যাবার পথে লক্ষীবাউর বাজারে লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা করলে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা (নং নন এফআইআর ১০১/২০১৭ইং দঃবিঃ ৩২৩/৫০৬) দায়ের করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর থানার এসআই রাজেন্দ্র দাস পুলিশ সুপারের আবেদন তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে।