বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কে এম শফিউল্লাহকে ইডিয়ট ও বেয়াদব বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম কে এম শফিউল্লাহর কড়া সমালোচনা করেন। শেখ সেলিম বলেন, ‘শেখ মনি মারা যাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ওই যে একটা ‘ইডিয়ট’ শফিউল্লাহ, মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। আর্মি চিফ ছিলেন। মনি ভাই মারা যাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টার পর বঙ্গবন্ধু মারা গেলেন। বঙ্গবন্ধু সবার কাছে ফোন দেন। কর্নেল শাফায়াত ছুটে আসেন। আর উনি (কে এম শফিউল্লাহ) বসে বুড়ো আঙুল চুষছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘এটা তো কোনো সেনা অভ্যুত্থান ছিল না। বিপথগামী সেনা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এটা করেছিল। যখন তারা অস্ত্র নেয়, তখনই তাদের কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত ছিল। উনি (শফিউল্লাহ) এগিয়ে আসলেন না। কেন ওই দিন বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে শাফায়াত জামিলকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচখানা, দশখানা ট্রাক আসেনি? কীসের জন্য শফিউল্লাহ নীরব ছিলেন?’
শেখ সেলিম আরও বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন আপনি একটু বাসা থেকে বের হয়ে যাইতে পারেন না। কত বড় ‘বেয়াদব’, বঙ্গবন্ধুকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আর্মির ভয়ে বাসা থেকে পালায়নি। আর তার বানানো আর্মি দেখে পালায় যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছয়টার পরে মারা গেল আর শফিউল্লাহ রেডিও স্টেশনে বিপথগামী সৈনিকদের সঙ্গে গেল। সে কেন অর্ডার দিল না, যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে গেছে, তারা আর ঢুকতে পারবে না। এরা ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে এদের অ্যারেস্ট করা হোক। অ্যারেস্ট করা হলো না। ডালিম গেল, নূর গেল এরা কিন্তু সবাই অবসরপ্রাপ্ত। ওইখানে গিয়ে তাকে (শফিউল্লাহ) নিয়ে আসল। উনি বললেন, খুনি মুশতাকের সরকারের প্রতি উনি আনুগত্য স্বীকার করবেন। কিন্তু রক্তের সঙ্গে যারা বেঈমানি করছে তারা কখনো ভালো থাকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির ওপর পড়ে ছিলেন, জিয়াউর রহমানও সিঁড়ির ওপর পড়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তার করুণ পরিণতি হতো না। খালেদ মোশাররফও ওই পথে চলে গেছেন।’
ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। আজকের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ, কলাবাগান থানার সভাপতি নাজমুল করিম, হাজারীবাগ থানার সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান, নিউমার্কেট থানার সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।