বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: যুবকরাই যে আগামি বাংলাদেশের কর্ণধার, সেটা ইতিমধ্যে দেশের বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যেও অনেকটা দেখা যায়। সেই সুবাধে অনেক তরুণই আগামির বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসছেন। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) নির্বাচনী আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে যুবকদের নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইতিমধ্যেই তার অনুস ারীদের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হলেন রাজনীতির অন্যতম পাঠশালা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের তাড়ল গ্রামের সন্তান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গুডবুকে থাকা সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল।
বিএনপি পরিবারে জন্ম নেয়া এই ছাত্রনেতা দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে এসএসসি, ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি কলেজে থেকে এইচএসসি এবং এমসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (১ম শ্রেণি) এবং এমএসসি (১ম শ্রেণি), সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে সিলেট জেলা বারে সুনামের সাথে আইনজীবি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালে পারিবারিক কারণে যুক্তরাজ্য যাওয়ার পূর্বে পর্যন্ত তিনি দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি (১৯৯৬-২০০১) এবং একই সময় সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন; ছাত্রদল সিলেট ল’ কলেজ, এমসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহ-সভাপতি, এমসি কলেজ হোস্টেল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের (এমরান-খালেদ কমিটির) ১ম সদস্য, জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক (১৯৯৯-২০০৪) হিসেবে দীর্ঘদিন সিলেট ও সুনামগঞ্জে রাজনীতি করেন। পাবেল চৌধুরীর পিতা আব্দুস শহীদ চৌধুরী সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা, সুনামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি এবং ১৯৭১ সুনামগঞ্জ জেলা সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে স্বাধীনতার পক্ষে সমস্ত জেলায় জনমত গঠন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দিরাই উপজেলা বিএনপি গঠন করে প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে পর পর তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দুই সন্তানের জনক আইনজীবি ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী পাবেল চৌধুরী ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরও প্রতিনিয়ত দেশ ও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যক্তরাজ্যে প্রথমে লন্ডন মহানগর বিএনপির সদস্য (লুৎফুর-তাজুল কমিটি), যুক্তরাজ্যে বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক (কমর উদ্দিন/ব্যারিস্টার সালাম কমিটির) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (সায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস/কয়সর কমিটি) সিনিয়র সদস্য (এমএ মালিক/কয়সর কমিটি) হিসেবে দলের জন্য বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সক্রিয় এই নেতা প্রায় প্রতি বছর দেশে এসে উনার নিজ এলাকা দিরাই-শাল্লা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীর সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। পাবেল চৌধুরী উনার বাবার নামে ‘শহীদ চৌধুরী ফাউন্ডেশন’ গঠন করে এর মাধ্যমে দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন।
এদিকে দিরাই ও শাল্লা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন এবং গর্ব করছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দিরাই-শাল্লা তৃণমূল বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দাবী, বিএনপি পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রদল নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পাবেল চৌধুরীকে আগামি সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেখার জন্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারমযান তারেক রহমানের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ট সুসম্পর্ক। গত এপ্রিলে বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা পাবেল চৌধুরীর ছোট বোনের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে রব ও কনের জন্য দোয়া করে যান। পাবেল চৌধুরীর স্ত্রী রোমেনা চৌধুরী ১২ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সাথে যুক্তরাজ্য এসে লন্ডনের সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি (অনার্স), এলএলএম ডিগ্রি নিয়ে লন্ডনের হোম অফিসে ডেপুটেশন ম্যানেজার হিসেবে সুনামের সাথে কর্মরত আছেন। তিনি তার স্বামীর রাজনৈতিকে কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। পারিবারিক, সামাজিক. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক, বিশেষ করে বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গুডবুকে রয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা এডভোকেট পাবেল চৌধুরী।