সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : বিশেষজ্ঞরা দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে শরীর আর্দ্র থাকে। তবে গরমের মধ্যে এটুকু পানি পর্যাপ্ত নয়। শরীর তখন আরো বেশি পানি চায়। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোতে পানির মাত্রা বেশি থাকে। এগুলো পানির চাহিদা অনেকটাই পূরণ করে শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ জানিয়েছে এ ধরনের কিছু খাবারের কথা।
১. মুলা : মুলার ৯৬% পানি। ঝাঁঝালো গন্ধ এবং চমৎকার রঙের জন্য বিভিন্ন ধরনের সালাদ বানানোর জন্য মুলা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রান্নাতেও মূলা ব্যবহৃত হয়। এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন এবং রিবোফ্ল্যাবিন; যেটা প্রোটিন, চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙতে এবং দেহে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
২. ধুন্দুল : ধুন্দুলের মধ্যে ৯৫% পানি রয়েছে। গরমের দিনে খাওয়ার জন্য একটি চমৎকার সবজি। ধুন্দুল পটাশিয়াম ও ফলেটের ভালো উৎস। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৩. বেল পিপার বা ক্যাপসিকাম : এরমধ্যে ৯২% পানি রয়েছে। কেবলমাত্র খাবারকে সুন্দর গন্ধের করা এবং রঙিন করা ছাড়াও শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য অন্যতম খাবার এটি। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, বি৬ এবং ফলিক এসিড। এই সবকিছুর সমন্বয় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
৪. গাজর : গাজরে ৮৭% পানি রয়েছে। পানি ছাড়াও গাজর বেটা ক্যারোটিনের চমৎকার উৎস। এটা কেবল তারুণ্যই ধরে রাখেনা, ফুসফুসের সমস্যা এবং মুখগহ্বরের ক্যানসার রোধ করতে সাহায্য করে।
৫. ব্রকলি : ৮৯% পানি রয়েছে এতে। ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, আঁশ, ক্যালসিয়াম।
৬. শসা : শসায় রয়েছে ৯৬% পানি। এটাকে কাঁচা সালাদ হিসেবে বা স্যুপ বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে থায়ামিন এবং ক্যাফিক এসিড যা সুন্দর ত্বকের জন্য ভালো এবং প্রদাহ দূর করে।
৭. তরমুজ : এরমধ্যে ৯২% পানি। ভিটামিন এ, বি৬, সি, লাইকোপিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও এমাইনো এসিডের ভালো উৎস। এছাড়া এতে পটাশিয়াম ও সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম রয়েছে। তরমুজ দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
৮. আম : আমের মধ্যে ৮৪% পানি রয়েছে। একে ফলের রাজা বলা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেহকে শক্তিশালী করে।
৯. কমলা : কমলায় ৮৭% পানি রয়েছে। কমলা ভিটামিন সি-এর বেশ ভালো উৎস। শরীরের পানির চাহিদার অনেকটাই পূরণ করে কমলা।