শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
রাজধানী ঢাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত: ঢাকা উত্তর সিটিতে দলীয় মেয়র প্রার্থীতা ঘোষণা

রাজধানী ঢাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত: ঢাকা উত্তর সিটিতে দলীয় মেয়র প্রার্থীতা ঘোষণা

আগামী নির্বাচনে তিনশ আসনে প্রার্থী দেবে ইসলামী ঐক্যজোট

আমার সুরমা ডটকম: আগামী নির্বাচনে সারাদেশে তিনশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। একই সাথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীও ঘোষনা করেছে দলটি। রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ ঘোষনা দেয়া হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী লিখিত ঘোষনাপত্রে পাঠ করে বলেন, আজকের এই  জাতীয় মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, নিজস্ব স্বান্ত্রতা বজায় রেখে ইসলামী ঐক্যজোট আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মিনার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাছাড়া ইসলামী ঐক্যজোট আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট, মহাজোট বা অন্য কোন জোটের সাথে সম্পৃক্ত হবেনা। কারণ ইসলামী ঐক্যজোট স্বতন্ত্রভাবে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া হিসাবে জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে আসছে। ইসলামী ঐক্যজোট শুধু একটি রাজনৈতিক জোটের নাম নয়; বরং ইসলামী জাগরণের উদ্যোমী এক দুর্জয় ও সাহসী কাফেলার নাম। ইসলামী রাজনীতির ক্ষেত্রে দিশারাী হিসাবেই এর আবির্ভাব। প্রয়োজনে ইসলামী ঐক্যজোট নিজস্ব বলয়ে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত হক্বপন্থী অন্যান্য ইসলামী সমমনা দলসমূহ নিয়ে জোট গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, ইহুদীরা অভিশপ্ত জাতি। তাদের দেশ নেই, রাষ্ট্র নেই। তাই তাদের কোন রাজধানী হতে পারেনা। তিনি বলেন, ওআইসি জেরুজালেমকে মুসলমানদের রাজধানী ঘোষনা করেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এই দাবী রক্ষার জন্য প্রয়োজনে বিশ্বে ২০০ কোটি মুসলমান লড়াই করবে। তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট আলোকিত দিশারীর ভূমিকা পালন করছে। দলটি দেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ দেশের আমূল পরিবর্তন আনতে চায়। এ দেশের ওলামায়ে কেরামরাও বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। সে লক্ষে ইসলামী ঐক্যজোট ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে এসেছে।
মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে নিজস্ব প্রতীক মিনার মার্কায় নির্বাচন করবে। কোন জোট কিংবা মহাজোটের লেজুড়বৃত্তি করবে না। তিনি বলেন, কওমী সনদের মান উলামায়ে কেরামের অধিকার। এই মান নিয়ে অতীতের মত প্রতারণা করলে পরিণাম ভাল হবেনা। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই এ সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। মুফতী ফয়জুল্লাহ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করায় সরকারকে সাধুবাদ জানান। আগামী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে ইসলামী এককভাবে নির্বাচন করবে এমন অভিব্যক্তি জানিয়ে তিনি আসন্ন উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে দলের সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী ইয়াকুবকে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, আমরা জোট করেছিলাম ইসলামের স্বার্থে, তা ত্যাগও করেছি ইসলামের স্বার্থে। আমাদের এই সিদ্ধান্ত ছিল সময়োপযোগী ও সঠিক। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই এই জন্য যে, তিনি ইসলামের পক্ষে কিছু ভাল কাজ করেছেন। আশা করি, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, মুফতী আমিনী (রহ) দীর্ঘ একুশ মাস গৃহবন্দী ছিলেন ইসলামের জন্য। কোন মন্ত্রী এমপি হওয়ার জন্য নয়। তিনি দেশের অর্থ পাচারকারীদের বিচার দাবী করে বলেন, কোন দল বুঝি না, যারাই দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চায়। অবিলম্বে সেই অর্থ ফেরত এনে দোষীদের বিচার করতে হবে।
জোটের ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) বলেন, ইজ্জতের মালিক আল্লাহ। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পাশে কিছু নাস্তিক-মুরতাদ এমপি আছে। তাদের কথায় কান না দিয়ে আপনি আল্লামা আহমদ শফীর দাবী মেনে নিয়েছেন। যদি ইজ্জত ধরে রাখতে চান, আগামী নির্বাচনের পূর্বেই দাওরায়ে হাদীসের সনদকে কার্যকর করে এই দাবী বাস্তবায়ন করুন।  অতীতে যারা কথা দিয়েও রাখতে পারেনি আজ তারা আফসোস করছে। আপনাকে যেন তাদের মত আফসোস করতে না হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা  মঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আব্দুল হাই ফারুকী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা  একেএম আশরাফুল হক, জনাব ওবায়দুল হক, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, ছাত্র খেলাফতের সভাপতি মুহা. খোরশেদ আলম, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মু. নুরুজ্জামান মাওলানা আব্দুল হাই আব্বাসী-কুমিল্লা, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা আবু সায়েম- নেত্রকোণা, মাওলানা শহিদুল ইসলাম ইনসাফী-যশোর, মাওলানা বুরহানুদ্দীন কাসেমী, মাওলানা মেহেদী হাসান-বি-বাড়ীয়া, মাওলানা রহমতুল্লাহ-ডেমরা, ঢাকা মাওলানা আবু তাহের খান, মাওলানা খাইরুল ইসলাম, মাওলানা হাকীম এনামুল হক-ময়মনসিংহ, মাওলানা মুখলিসুর রহমান-গাজীপুর, মাওলানা আসলাম রাহমানী, মাওলানা আবু ইউসুফ, ডা. হাবিবুর রহমান-সিলেট, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা হারিছুল হক-নরসিংদী, মাওলানা আনম আহমদউল্লাহ মাওলানা ওসমান কাসেমী-চট্টগ্রাম, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম-বগুড়া, মাওলানা আব্দুর রহীম ফারুকী-কক্সবাজার, মুফতী জাফর আহমদ-টাঙ্গাঈল, মাওলানা ইসমাঈল-মহাসচিব নূরানী তালীমুল কোরআন বোর্ড, ঢাকা, মাওলানা আজিজুল হক-মৌলভীবাজার, মাওলানা তৈয়বুর রহমান-সুনামগঞ্জ, মাওলানা মাহবুবুল্লাহ-গোপালগঞ্জ, মাওলানা ফরহাদ আলম-দিনাজপুরসহ ষাটোর্দ্ধ জেলার প্রতিনিধি।

ইসলামী ঐক্যজোট জাতীয় মহাসমাবেশের ঘোষণা
মুসলিম উম্মাহ আজ এক চরম ও দুর্বিসহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সারা বিশ্বেই চলছে মুসলমানদের উপর অন্যায়-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস ইহুদী খ্রিস্টানদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য ইসরাইল আমেরিকার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। সিরিয়া, মিসর, ইরাক, লিবিয়া, কাতার, সৌদিআরব, ইয়ামান, আফগানিস্তান, ইরানসহ বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে চলছে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও চরম অস্থিরতা ও উত্তেজনা। মায়ানমারের মগদস্যুরা আরাকানী রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন ও তাদেরকে দেশ ছাড়া করে অংসান সুচিরা মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক এসব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে মুসলিম উম্মাহকে পারস্পরিক সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে শীষাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোটখাট ও খুঁটিনাটি মতভেদ ভুলে গিয়ে মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে মুসলমানদের এক হুঙ্কারেই তাবৎ বাতিল শক্তি হাত গুটিয়ে পালানোর পথও খুঁজে পাবে না। আর এর মাধ্যমেই বিশ্বময় অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়ভিত্তিক ও ইনসাফের আল্লাহর রাজ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের পূর্বসুরী আকাবির আসলাফগণ পরিস্থিতি ও পরিবেশের আলোকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বাংলাদেশেও সবসময় উজ্জীবিত রাখতে ছিলেন সচেষ্ট। হযরত মাওলানা আতহার আলী রহ., হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ., হযরত মাওলানা সিদ্দীক আহমদ রহ., আমীরে শরীয়ত হযরত মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও সর্বশেষ মুজাহিদে মিল্লাত মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ. ইসলামী আন্দোলনের মশালকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে এদেশে ইসলামী বিপ্লবের পথকে মসৃণ করে গেছেন।
আকাবির-পূর্বসুরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ইসলামী ঐক্যজোট বাংলার জমীনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে সচেষ্ট রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস আকাবিরদের পদাঙ্কানুসরণ করে আমরা যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যেতে সক্ষম হই, তাহলে অবশ্যই দুনিয়া ও আখেরাতে এর সুফল একদিন ধরা দেবেই ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশকে একটি আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইসলামী ঐক্যজোট তার জন্মকাল থেকেই সময়োপযোগী ভূমিকা গ্রহণ করে আসছে। এখনও ইসলামী ঐক্যজোট তার মূল লক্ষ্য ও আদর্শ থেকে চুল পরিমাণও বিচ্যুত হয়নি। পরিস্থিতি ও পরিবেশকে সামনে রেখে আগের মতই প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহণে ইসলামী ঐক্যজোট পিছপা হয়নি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে এখন প্রয়োজন খুঁটিনাটি ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সকল ইসলামী দলের পারস্পরিক ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষণা করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইসলামী ঐক্যজোট তাদের যাবতীয় কার্যক্রম ও কর্মপন্থা চূড়ান্ত করেই আন্দোলনের ময়দানে কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। আর আজকের মহাসমাবেশও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের একটি পদক্ষেপ হিসাবে।
সুতরাং  আজকের এই  জাতীয় মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, নিজস্ব স্বান্ত্রতা বজায় রেখে ইসলামী ঐক্যজোট আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মিনার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। তাছাড়া ইসলামী ঐক্যজোট আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট, মহাজোট বা অন্য কোন জোটের সাথে সম্পৃক্ত হবে না। কারণ ইসলামী ঐক্যজোট স্বতন্ত্রভাবে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া হিসাবে জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে আসছে। ইসলামী ঐক্যজোট শুধু একটি রাজনৈতিক জোটের নাম নয়; বরং ইসলামী জাগরণের উদ্যোমী এক দুর্জয় ও সাহসী কাফেলার নাম। ইসলামী রাজনীতির ক্ষেত্রে দিশারাী হিসাবেই এর আবির্ভাব। প্রয়োজনে ইসলামী ঐক্যজোট নিজস্ব বলয়ে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত হক্বপন্থী অন্যান্য ইসলামী সমমনা দলসমূহ নিয়ে জোট গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ আরো ঘোষণা করছে যে, সৌদিআরবসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার জাতীয় অর্থনীতির জন্যে মারাত্মক আঘাত স্বরূপ। তাই ইসলামী ঐক্যজোট পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এর সাথে জড়িত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, বর্তমান সরকার কর্তৃক কওমী মাদরাসা সনদের মান প্রদান একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ ও সময়োপযোগী চিন্তার বহি:প্রকাশ। এজন্য ইসলামী ঐক্যজোট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাচ্ছে আন্তরিক অভিনন্দন। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত কওমী সনদের মানকে আইনী ভিত্তি দিয়ে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে সেই আইন পাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।
আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, দেশের আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা তাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। তাই আজকের মহাসমাবেশ এসব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।
আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শ অনুশীলন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে সমাজে কোনো দ্বন্দ্ব-কলহ, বিবাদ-বিসম্বাদ থাকবে না। সবাই পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে প্রবৃত্ত হবে। তাই রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলামী বিধান অনুসরণ ও ইসলাম বিরোধী বিধান বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছে।
আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে। সেইসাথে আরো ঘোষণা করছে যে, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না। আজকের এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ও আনান কমিশনের রিপোর্টের আলোকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আরকানে নিরাপদ জোন ও আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে তাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে। সেইসাথে তাদের নাগরিক যাবতীয় অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে আন্তর্জাতিক মহল ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে।
আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ ট্রাম প্রশাসন কর্তৃক জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা এবং তেলআবিবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণাকে বিশ্ব জনমতের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপনের নামান্তর ঘোষণা করছে। অনতিবিলম্বে ট্রাম প্রশাসনকে তাদের এই ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। তাছাড়া ওআইসি কর্তৃক পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য ইসলামী ঐক্যজোট সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
পরিশেষে আজকের এই জাতীয় মহাসমাবেশ মনে করে যে, ইসলাম বিদ্বেষীদের গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের ফলেই এদেশের মুসলমানরা আজ নানা সংকটের মধ্যে নিক্ষিপ্ত। দেশ-জাতি ও জনগণের স্বতন্ত্র জাতীয়বোধ, আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, তাহযীব-তমদ্দুন, ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য হেন অপপ্রয়াস নেই, যা করা হচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে ইসলামী জনতার মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রয়োজন। আর এজন্যই সুস্পষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে সব ইসলামী দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম গড়ে তোলা সময়ের অন্যতম দাবি। কারণ ঐক্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসলামী আন্দোলনকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর অন্য কোন বিকল্প পথ নেই। সুতরাং ইসলামী ঐক্যজোট সব হকপন্থী ইসলামী দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com