শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
সাজু আহমেদ, ক্রিড়া প্রতিবেদক: ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে হেরে গেলো বাংলাদেশ। ৭৯ রানে হারতে হলো বাংলাদেশকে। ৪১.১ ওভারে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করে ১৪২ রান। শেষ সময়ে হাল ধরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফসেঞ্চুরি তুলে হালটা ধরে ছিলেন। কিন্তু হলো না স্বপ্নপূরণ। ৭৬ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে ২২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে মাত্র ২২ রান সংগ্রহ করতেই তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। তাঁদের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে আশা জেগেছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। কিন্তু ২৩তম ওভারে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক। এর পরেই মেহেদি হাসান আউট হয়ে গেলেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা খুব বেশি না। ২২২ রান। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। তামিম ইকবাল আজ ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে। নবম ওভারে ১০ রান করে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিথুনও ফিরেছেন সাজঘরে। পরের ওভারে মাত্র ২ রান করে সাব্বিরও ফিরেছেন দুষ্মন্ত চামিরার শিকার হয়ে। রান তুলতে যে বেশ কষ্টই করতে হচ্ছে, তা ভালোই বোঝা গেছে দুই বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ও মোহাম্মদ মিথুনকে দেখে। প্রথম পাঁচ ওভারে তাঁরা স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন মাত্র ১১ রান। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে নিজের বলেই তামিমকে তালুবন্দি করার দারুণ চেষ্টা করেছিলেন দুষ্মন্ত চামিরা। সেবার সফল না হলেও পরের বলেই তিনি তুলে নিয়েছেন তামিমের উইকেট। আঙুলের ইনজুরির কারণে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেননি সাকিব আল হাসান। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উপুল থারাঙ্গার ৫৬, দিনেশ চান্দিমালের ৪৫, নিরোশান ডিকওয়েলার ৪২ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২২১ রান জমা করেছে শ্রীলঙ্কা। দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজ বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন। চারটি উইকেট গেছে রুবেলের ঝুলিতে। মুস্তাফিজ মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৪১.১ ওভারে ১৪২ (তামিম ৩, মিঠুন ১০, সাব্বির ২, মুশফিক ২২, মাহমুদউল্লাহ ৭৬, মিরাজ ৫, সাইফ ৮, মাশরাফি ৫, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ০*; লাকমল ০/২৯, চামিরা ২/১৭, থিসারা ০/৩১, মদুশঙ্কা ৩/২৬, দনঞ্জয়া ২/৩০, গুনাথিলকা ০/৪)