বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জ শহরতলিতে নির্মিতব্য পাওয়ার গ্রীড স্টেশন শ্রীঘ্রই চালু হচ্ছে। এ সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ ভোগান্তি কমে আসবে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তে হবে না গ্রাহকদের। সুনামগঞ্জ জেলা শহর ও শহর তলিতে বিদ্যুত নির্ভর কল-কারখানাও গড়ে উঠবে। ১৩২ কেবি বিদ্যুত লাইনের আর মাত্র ৮টি টাওয়ার বসানো শেষ হলেই এই সাবস্টেশনের কাজ শেষ হবে। ২০১২-২০১৩ সালে সুনামগঞ্জ সদর এবং পৌর শহরের ৯ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ একর ২৫ শতাংশ জমি ৬ কোটি ২০ লাখ ৮ হাজার ৫৮৩ টাকা মূল্যে অধিগ্রহনের মধ্যে দিয়ে শহরতলীর ওয়েজখালীতে (চেশনিখাড়া সেতুর পাশে) এই পাওয়ার গ্রীড স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। অত্যন্ত দু:খের বিষয় পাওয়ার গ্রীডের ষ্টেশন নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে হলেও অধিগ্রহনকৃত টাকা এষনও না পাওয়ায় হতাশা দেখা দিয়েছে। ভূমির মালিকরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সুনামগঞ্জ পাওয়ার গ্রীড সাবস্টেশনের সাথে ২০১৪ সালে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে দেশের ১০টি স্থানে ৯৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার গ্রীড সাবস্টেশনের কাজ শুরু হয়। পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড পিজিসিবি এর পরিচালক, নান্দনিক সুনামগঞ্জের সপ্নদ্রষ্টা ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, এই বিদ্যুত প্রকল্পটির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানোর পর তিনি বলেছিলেন, ওর আবদার ও সম্মান রক্ষা করতেই সাবস্টেশন করতে হবে। দেশে এক সঙ্গে ১০টি পাওয়ার গ্রীডের কাজ শুরু হলেও সুনামগঞ্জের কাজের অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি। আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যেই কাঙ্খিত গ্রীড স্টেশনের শুভ উদ্ধোধন করা সম্ভব হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ভোধনের জন্য অনুরুদ করা হবে। পাওয়ার গ্রীড সংশিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান বিদ্যুত লাইনে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জে ৩৩ হাজার কিলো ভোল্ট বিদ্যুত সঞ্চালন হয়। এই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন এসেছে পুল বা খুটি দিয়ে। নতুন পাওয়ার গ্রীড স্টেশনে ছাতক থেকে বিদ্যুত আসবে ১০৮টি টাওয়ারের মাধ্যমে। এই লাইনে এক লাখ ৩২ হাজার কিলোভোল্ট বিদ্যুত সঞ্চালন হবে। তাতে সিস্টেম লস কমবে এবং লোডশেডিং কমে যাবে। গ্রাহকদের বিদ্যু দেবার ক্ষমতা বাড়বে। সার্বক্ষণিক বিদ্যু সরবারাহ নিশ্চিত হবে। এখনও ঝড় বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের পুল পুড়ে যায়, লাইনে গাছ গাছালি পড়ে বিভিন্ন ত্রুুটি দেখা দেয়। নতুন লাইন ও গ্রীড স্টেশন চালু হলে সেটি হবেনা। বিদ্যু সাব-স্টেশনের কাজের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লি:-এর উপ-সহকারী প্রকোশলী মো সালেহ আহমেদ জানান, বিদ্যুত জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রালয়ের নির্দেশনা রয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার ইতিমধ্যে আমরা গ্রীড স্টেশনের শেষ করেছি।