বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন
সাজু আহমেদ, ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অসাধারণ সাহসী ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিলো বাংলাদেশ। আর এতে রোববার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এক বল বাকি থাকতেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদুল্লাহ।
১৯তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে সাত রান নিয়ে খানিকটা এগোলেও শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন মেহেদী। ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হযে গেলেন সাকিব। ৯ বলে ৭ রান করেন তিনি। সংশয়ে পড়ে গেল বাংলাদেশ। জয়ের পথে হয়তো ছুটছিল না, কিন্তু ঠিকই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ।
১২ ওভার শেষেও প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে পিছিয়ে পড়েনি বাংলাদেশ, হাতে ৮ উইকেট। এ ম্যাচে নিরঙ্কুশ ফেবারিট তো বাংলাদেশ! কিন্তু কীভাবে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে হয় সেটাই দেখিয়ে দিলেন তামিম-মুশফিকেরা। মাত্র ১৫ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৯৭ রান থেকে হঠাৎ করেই ৫ উইকেটে ১০৯ বাংলাদেশ।
অথচ ১২ ওভার পর্যন্ত শুধু সুখবরই ঘোরাঘুরি করছিল বাংলাদেশ দলের চারপাশে। মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার ছুঁয়েছেন মুশফিক। অপর প্রান্তে এই মাইল ফলকে সবার আগে পৌঁছা তামিম। ১২ ওভার শেষে দলের স্কোর ২ উইকেটে ৯৫। ইনিংসের ওই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৬৮ রান। ২৭ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ তো জয়ের আশা করতেই পারে। কভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিক ফেরার পরও আশা হারায়নি বাংলাদেশ, তামিম যে ছিলেন।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ইতিহাস সৃষ্টি করা সেই ইনিংসের পর আর কখনো ফিফটিও করতে পারেননি। আজ সে দুঃখটাও মিটল। ৪১ বলে ফিফটি করা তামিম কিনা আউট পরের বলেই! কোনো চার ছক্কা না মেরে ১০ রান করা সৌম্য আউট ৪ বল পরেই। তবে কি পথ হারাল বাংলাদেশ?
৩১ বলে ৫১ রানের সমীকরণ মাথায় নিয়ে মাঠে নামলেন সাকিব আল হাসান। বিদায় নিলেন দলকে ১২ বলে ২৩ রানের সমীকরণে। এর মাঝে ৯ বলে ৭ রানই করতে পেরেছেন সাকিব। দলকে জেতানোর সব দায় দায়িত্ব সিরিজের আগের তিন ম্যাচের অধিনায়কত্ব করা মাহমুদউল্লাহর কাঁধেই পড়ল। মাহমুদউল্লাহও চেষ্টা করলেন তাঁর সর্বোচ্চ। শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণ, প্রতি বলে দুই রান।
সমস্যা একটাই, স্ট্রাইকে যে নেই মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুই বল নষ্ট হলো, কোনো রান এল না। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম দশ ওভার নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশের। দশ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান। কিন্তু পরবর্তীতে কুসল পেরেরা ও থিসারা পেরেরার ব্যাটিং তাণ্ডবে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচটিতে ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে কুসল পেরেরা ৪০ বল খেলে করেছেন ৬১ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার দশম অর্ধশত। অন্যদিকে, ৩৭ বল খেলে ৫৮ রান করেছেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার প্রথম অর্ধশত।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ চার ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। সাকিব আল হাসান দুই ওভার বল করে নয় রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, সৌম্য সরকার ১টি ও রুবেল হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।