শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : নদীর তীরের মসজিদ উচ্ছেদ ও কুরবানি করার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে ধর্মপ্রাণ জনতা ফুঁসে উঠবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজত নেতৃবৃন্দ। রোববার দুপুরে বারিধারার জামিয়া মাদানিয়া মাদরাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আল্লামা নুর হোছাইন কাসেমী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। মসজিদ উচ্ছেদ ও কুরবানির জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী রোববার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে নুর হোছাইন কাসেমী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জন্মগত ও পরিবেশগত ভাবে ধর্মভীরু ও মসজিদমূখী। মসজিদের নগরী নামে পরিচিত এই ঢাকা মহানগরীর বুড়িগঙ্গা নদী তীরের মসজিদগুলোসহ সারা দেশের নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলো মুসলিম জাতিসত্ত্বার ঐতিহ্যময় স্মৃতি। সম্প্রতি অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনা উচ্ছেদ আর নদী দুষণমুক্তের নামে মসজিদ উচ্ছেদ এবং শহর পরিচ্ছন্নতার নামে কুরবানির হাজার বছরের ঐতিহ্য বিনষ্টের সিদ্ধান্ত একটি হীনপায়তারা। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। অন্যথায় জনগণ ফোঁসে উঠতে পারে। তখন সরকার তা সামাল দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, মসজিদ অপসারণের কথা বলা হচ্ছে, অথচ বড় বড় রাঘব বোয়াল ও জলদস্যু ভূমি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে বুড়িগঙ্গাকে যুগযুগ ধরে গ্রাস করে খাচ্ছে। চামড়া আর শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জে এই নদীর পানি এখন পরিবেশ ও আবহাওয়া দুষনের কালো থাবায় পরিণত হয়ে আছে। সেগুলো উচ্ছেদে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। একই ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জে একটি মসজিদ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ মসজিদটি পুন:নির্মাণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত নেতা মাও. মোস্তফা আজাদ, মাও. আবুল কালাম, মাও. ইমদাদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, অধ্যাপক আব্দুল করীম, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী প্রমুখ।