বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: বাংলাদেশের অন্য যে কোন অঞ্চল থেকে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গন অনেকটা আলাদা। এখানে প্রয়োজনে সব দল একসাথে এক মঞ্চে বসে। আর এই রেওয়াজ দীর্ঘ দিনের। সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে আন্তরিকতারও ছিলনা কোন অভাব।
অথচ এখন সব কিছু থমকে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনের পর। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ‘কন্ট্রাক্ট কিলার’ ডা.জাহিদুল আলম কাদিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলের এক সাংসদকে খুন করার জন্য লন্ডনে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন জাহিদুল আলম কাদির। তবে লন্ডনের সেই ব্যক্তি কিংবা সিলেটের কোন এমপিকে খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’
জানা যায়, গত ১৫ মে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ডা. জাহিদুল আলমকে দুটি পিস্তল আর আট রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার পোড়াদহের বাবুপাড়ায়। তার বিরুদ্ধে মামলা হয় অস্ত্র আইনে। পরে গত ৩ জুন ঢাকার গাবতলী থেকে তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। মাসুমাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে জাহিদুলের অবৈধ অস্ত্রের মজুদের বিষয়টি। পুলিশ তাদেরকে রিমান্ডে নেয়। তাদের তথ্যানুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ভোরে ময়মনসিংহের বাঘমারা এলাকায় জাহিদুলের ফ্ল্যাট থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৬১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আর এই ‘কন্ট্রাক্ট কিলার’ সিলেটের একজন এমপিকে হত্যা করার জন্য নিয়োজিত ছিলো। এই সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হবার পর সিলেটের রাজনীতিতে বিশ্বাস-অবিশ্বাস এবং শঙ্কা ভর করেছে। এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।
পুলিশের তদন্তে হয়তোবা অচীরেই বেরিয়ে আসবে কে কাকে খুন করতে চেয়েছিলেন।
তবে সিলেটের সুধীজন আশংকা করছেন স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে সিলেটের শান্ত রাজনৈতিক পরিবেশকে অশান্ত করে তৃতীয় কোন পক্ষ তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে পারে।এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।