বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক: নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি আর্জেন্টিনার জন্য ছিল বাঁচা-মরার। হারলে তো বটেই ড্র করলেও রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজতো দলটির। প্রথম রাউন্ড থেকেই। দারুণ এক স্নায়ুযুদ্ধের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় লিওনেল মেসিদের। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দলকে সমর্থন দিতে ভিআইপি গ্যালারিতে ছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনা। দলকে উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন। তবে স্নায়ুচাপে একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ম্যাচ শেষে তাকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। তবে এখন সুস্থ আছেন ম্যারাডোনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কিংবদন্তি নিজেই জানিয়েছেন, আমি ঠিক আছি।
মঙ্গলবার সেন্ট পিটারর্সবার্গে ১৪ মিনিটে লিওনেল মেসি গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। মেসির উদযাপন যেমন ছিল বাঁধভাঙা, গ্যালারিতে ম্যারডোনারও ছিলেন তেমনই। কিন্তু ৫১ মিনিটে পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া। তখনই ম্যারাডোনার বিষাদে ভরা মুখটা ধরা পড়ে। স্পটকিক থেকে সমতা আনে আফ্রিকার দেশটি। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে মার্কোস রোহোর গোলে জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার।
কিন্তু এমন রোমাঞ্চকর এবং প্রয়োজনের জয়ের পরও হাসপাতালে যেতে হয় ম্যারাডোনাকে। আসলে ম্যারাডোনার ৫৭ বছরের শরীরটা এখন কি আর অত ধকল নিতে পারে? তবে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক লিখেছেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, আমি ঠিক আছি।’
ডাক্তারের পরীক্ষার একটি ছবি পোস্ট করে ম্যারাডোনা আরো লিখেছেন, ‘আমি ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি এবং সে আমাকে দ্বিতীয়ার্ধের আগে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেয়। কিন্তু আমি থেকে যেতে চেয়েছি কারণ আমরা খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলাম। আমি কিভাবে তখন চলে যাই?’ তবে ঘাড়ের ব্যথার কথা জানিয়েছেন ম্যারাডোনা।
দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলে ৩৪ গোলে করেন এই কিংবদন্তি। ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে ছিলেন ম্যারাডোনা।
সূত্র : বিবিসি স্পোর্টস।